রহস্যজনকভাবে আইসক্রিমের ফ্রিজ থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হল। আর তাকে ঘিরে তুমুল আলোড়ন ছড়াল পুরাতন মালদা পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাচামারি এলাকার হিন্দুস্তান গোডাউন সংলগ্ন এলাকায়। আজ, সোমবার দুপুরে মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় এলাকা জুড়ে। মৃত ওই ব্যক্তির নাম মৃণালকান্তি বসু (৪০)। বাড়ি বনগাঁ এলাকায়। আইসক্রিমের ফ্রিজে তাঁর নগ্ন দেহ মেলে ফ্রিজ খুলতেই। প্রখ্যাত কোম্পানির আইসক্রিমের ফ্রিজে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সাত বছর ধরে ওই গোডাউনের আইসক্রিমের গাড়ির চালক ছিলেন মৃণাল। এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মালদা থানার পুলিশ। তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে মালদা থানার পুলিশকর্তারা। ওই আইসক্রিম গোডাউনের মালিক জয়ন্ত পাল চৌধুরী বলেন, ‘প্রত্যেকদিনের মতো সেই ব্যক্তি স্বাভাবিকই ছিল। রবিবার ছিল ছুটি দিন। তবে গতকাল অতিরিক্ত মদ্যপান করাই মৃণালের মৃত্যুর কারণ।’ আজ সকালে ওই গাড়ির চালক গোডাউনের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষের। তখন বাইরে থেকে ডাকাডাকি করা হলেও কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। তাই পিছনের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ওই চালকের খোঁজ করা হয়। অবশেষে গোডাউনের সব ফ্রিজ খুলে দেখতে গিয়ে আঁতকে ওঠেন গোডাউন ম্যানেজার।
আরও পড়ুন: সংসদে সায়নী–মিতালির যুগলবন্দিতে সরগরম, প্রথম বক্তব্যেই রেল–মেট্রো নিয়ে প্রশ্ন
এদিকে আজ ওই গোডাউনের ম্যানেজার সন্তোষ ঘোষ খোঁজ করতে থাকেন মৃণালকে। কারণ মৃণাল গতকাল গোডাউনেই ছিল। আইসক্রিমের ফ্রিজ খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায় মৃণালের মৃতদেহ দেখে। হতভম্ব হয়ে ঘটনা জানান এলাকাবাসীকে। এই মৃত্যু নিয়ে এলাকায় রহস্যের দানা বেঁধেছে। যদিও পুরো বিষয়টি কি সেটা তদন্তের পরেই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে প্রচুর স্থানীয় লোকজন ভিড় জমায়। পুলিশ এসে ডিপ ফ্রিজ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। মৃতদেহ সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় ফ্রিজে ছিল। কেন এমন অবস্থায় মৃতদেহ পাওয়া গেল? উঠছে প্রশ্ন। গোডাউনের ম্যানেজার সন্তোষ ঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।
অন্যদিকে মৃণাল অত্যন্ত মদ্যপান করতেন। তাই ফ্রিজের ভিতরে নেশার ঘোরে রবিবার থাকাকালীন বাইরে থেকে ডিপ ফ্রিজের ঢাকনা অটো লক হয়ে যায়। সম্ভবত দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন মৃণালকান্তি বসু। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তি উলঙ্গ অবস্থায় কেন ছিলেন? শুধুই নেশার কারণে নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে? এটা খুন নাকি দুর্ঘটনা? কেমন করে ঘটল এমন ঘটনা? নেপথ্যে অন্য কারও হাত আছে? সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।