সুতরাং একটা বড় অংশের মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। তাই রানাঘাটে কে প্রার্থী হচ্ছেন সেটা জানা যাচ্ছে না। যেখানে টিকিট নাও পেতে পারেন জগন্নাথ বলে শোনা যাচ্ছিল সেখানে কেন আবার তার উপর ভরসা রাখল বিজেপি? এই প্রশ্ন উঠছে।
জগন্নাথেই ভরসা রাখল দল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়লাভ করেছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। প্রার্থী ঘোষণার আগে গুঞ্জন ছিল, এবার বোধহয় টিকিট পাচ্ছেন না জগন্নাথ। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে নদিয়ার রানাঘাট কেন্দ্রে ফের প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে জগন্নাথের নাম। গোটা দেশে ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে বাংলার ২০ প্রার্থীর নামও রয়েছে। এবার রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে ফের টিকিট দিয়েছে পদ্মশিবির। সুতরাং এবারও জগন্নাথের উপরই ভরসা রাখল বিজেপি।
এদিকে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের উপর মানুষ ক্ষেপে রয়েছেন। কারণ এখানে তেমন কোনও কাজ তিনি করেননি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। এমনকী দুর্ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। তারপরও এবার প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। সুতরাং একটা বড় অংশের মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। তাই রানাঘাটে কে প্রার্থী হচ্ছেন সেটা জানা যাচ্ছে না। যেখানে টিকিট নাও পেতে পারেন জগন্নাথ বলে শোনা যাচ্ছিল সেখানে কেন আবার তার উপর ভরসা রাখল বিজেপি? এই প্রশ্ন উঠছে। তবে এখানে বারবার ভোট পেয়েছে বলেই ভরসা করা হয়েছে।
অন্যদিকে আবার টিকিট পেয়েই নবদ্বীপের জাগ্রত দেবী পোড়া মায়ের মন্দিরে দলের কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে পুজো দিলেন জগন্নাথ সরকার। আর সাংবাদিকদের জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘আমি দলের কাছে কৃতজ্ঞ যে দল পুনরায় আমাকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। বিগত পাঁচ বছরের কাজে নিরিখে জনগণ যেভাবে আমাকে সাহায্য করেছে আমি তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে দল আমাকে পুনরায় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ এবং আগামী লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করব।’