বগটুই হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে হাতিয়ার করে ফের একবার সিবিআইয়ের সঙ্গে সম্মুখসমরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। লালন শেখের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার আগেই এই মৃত্যুতে খুনের মামলা রুজু করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে সরব হয়েছেন মৃতের আত্মীয়রাও। ওদিকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে চলছে লালন শেখের দেহের ময়নাতদন্ত।সোমবার সন্ধ্যায় রামপুরহাটের পান্থশ্রী অতিথিনিবাসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসের শৌচাগার থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কিছুক্ষণ পর ছবি প্রকাশ করে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, শৌচাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন লালন শেখ। কিন্তু প্রথম থেকেই লালনকে খুন করা হয়েছে বলে সরব হয় তার পরিবার।রাতেই লালনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের শবাগারে। সকাল ১০টার পর শুরু হয় ময়নাতদন্তের তোড়জোড়। কিন্তু এরই মধ্যে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে বীরভূম জেলা পুলিশ। ওদিকে লালনকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন লালনের পরিজনরা। পথ অবরোধ করে তারা। যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।লালনের দেহের ময়নাতদন্ত উপলক্ষে রামপুরহাট হাসপাতালেও ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার আগেই কেন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে ফেলল রাজ্য পুলিশ?গত ২১ মার্চ রাতে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের পর একের পর এক বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। যাতে মৃত্যু হয় মোট ৯ জনের। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ।