ডিভোর্স না দেওয়ায় প্রথম স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন। সেই অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্বামীর। ঘটনাটি নদিয়ার কুশবেড়িয়ার। আসামির নাম নির্মল দত্ত। বৃহস্পতিবার রানাঘাট আদালতের বিচারক ভারতীয় দণ্ডবিধির ৮৫ এবং ১০৩(১) ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শুধু স্ত্রী নয়, শ্বশুর এবং শ্যালকের ওপরও হামলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ট্রেন থেকে ধাক্কা, নাজিমুদ্দিন হত্যা মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আদালত
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ঘটেছিল এই ঘটনা। মৃত সুচরিতা দত্ত পেশায় ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে অশান্তি বাড়তে থাকায় তিনি নিজের সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে আলাদা ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। গান গেয়ে সংসার চালাতেন সুচরিতা। অভিযোগ, ঘটনার দিন দুপুরে নির্মল ওই ভাড়া বাড়িতে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন স্ত্রীকে। গুরুতর আহত অবস্থায় সুচরিতা বাবাকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। খবর পেয়ে সুচরিতার বাবা ও ভাই ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদেরও একইভাবে কোপানোর চেষ্টা করে নির্মল। প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এবং পুলিশে খবর দেন। ধানতলা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় সুচরিতাকে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে নির্মলকে আটক করে।
সরকারি কৌঁসুলি জানান, তদন্তকারী অফিসার দ্রুততার সঙ্গে চার্জশিট জমা দেন। মাত্র ১১ মাসের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে আদালত রায় ঘোষণা করেছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশে সন্তুষ্ট মৃতার পরিবার। অন্যদিকে, নির্মলের আইনজীবী জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা হবে। স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিন ধরে চলা বিবাদের জেরে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। জানা গিয়েছে, সুচরিতা ডিভোর্স না দেওয়ার কারণেই তাঁকে খুন করে নির্মল।