ভাঙড়ের এই গ্রেফতারি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধী কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের সর্বোচ্চ পদাধিকারীকে নিয়ে প্রকাশ্যে অশালীন মন্তব্য করা হলে আইনত ব্যবস্থা নিতেই হবে।
নওশাদ সিদ্দিকি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য এবং অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে ভাঙড় থেকে এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত মহিলার নাম সাইনুর বিবি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ নিমকুড়িয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি ভাঙড়ে আইএসএফ ও বিভিন্ন সংগঠন ওয়াকফ বিল সংশোধন, সার সংকট এবং ভিনরাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে। সেই সময় পুলিশের বাধা ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ বহু জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে নিমকুড়িয়া গ্রামের কয়েকজন মহিলা সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিযোগ, তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে উদ্দেশ করে কুরুচিকর মন্তব্য করেন তাঁরা। ভিডিয়োটি বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়।
ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা উত্তর কাশীপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিধায়ক শওকত মোল্লা অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্তে নামে এবং সাইনুর বিবিকে গ্রেফতার করে। শওকতের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য সহ্য করা যায় না। এর কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। অন্যদিকে আইএসএফ নেতৃত্ব ঘটনার জন্য সরাসরি সমর্থন না জানালেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জেলা পরিষদ সদস্য রাইনুর হক বলেন, কুরুচিকর মন্তব্য দলের সমর্থন নেই। তবে শাসকদলের নেতারা যখন বিরোধীদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেন, তখন পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। ভাঙড়ের এই গ্রেফতারি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধী কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের সর্বোচ্চ পদাধিকারীকে নিয়ে প্রকাশ্যে অশালীন মন্তব্য করা হলে আইনত ব্যবস্থা নিতেই হবে।