সিকিম পাহাড়ে রাতভর বৃষ্টির জেরে তিস্তায় জলস্ফীতি ঘটেছে। আজ, রবিবার সকালে গজলডোবা, তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ২৬০০ কিউসেকের বেশি জল। আর তার জেরে চলতি মরশুমে এই প্রথম তিস্তার দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করল সেচ দফতর। গত ২৪ ঘন্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৬ মিলিমিটার। এই আবহে বিপর্যয়ের মুখে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধসের জেরে ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল আপাতত বন্ধ করেছে প্রশাসন। জাতীয় সড়ক তিস্তা নদীর পার ধরে যাওয়ায় ওই অংশ ক্রমশ বসে যাচ্ছে। এখন বেশ কয়েক জায়গায় ধস নেমেছে। বৃষ্টির জলে ফুঁসছে তিস্তা। ধসের জেরে কালিম্পং জেলার একাধিক জায়গায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে ফাঁসিদেওয়া গঙ্গারাম চা–বাগানের ঢোকার মুখে ভাঙল রাস্তা। জাতীয় সড়ক হয়ে গঙ্গারাম বাজার ঢোকার মুখেই গ্রামের যাতায়াতের একটিমাত্র রাস্তা ভেঙে নিয়ে গেল টুনা নদী। প্রবল স্রোতের জেরে নদীর সেতুর সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা ভেঙে যায়। রাস্তা ভাঙতেই বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ। ২০২৩ সালে সেতুর সংযোগকারী রাস্তা ভেঙে গিয়ে অস্থায়ীভাবে কাজ করা হয়। রাতে বৃষ্টি হতেই আবার ভাঙল রাস্তা। সেতুর উপরে ৭টি গ্রামের ভরসা এই রাস্তা। সকাল থেকেই রাস্তা ভাঙলেও দেখা নেই প্রশাসনের বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আবার কালিম্পং এবং কার্শিয়াংয়ে ধস অব্যাহত রয়েছে। শনিবার ভোরে কার্শিয়াংয়ের শেপরাবস্তিতে ধসে আহত হন এক মহিলা।
আরও পড়ুন: মাইক বাজানো নিয়ে অশান্তি চরমে, হুগলির যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার ২
অন্যদিকে ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও তিনটি বাড়ি। প্রশাসন সূত্রে খবর, ধস কবলিত ওই এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। কালিম্পংয়ের ধসে বিধ্বস্ত জাতীয় সড়কে বন্ধ যান চলাচল। জাতীয় সড়কের লিকুভিরে এলাকায় পাহাড় থেকে নেমে আসে পাথর, নুড়ি ও মাটি। শিলিগুড়ির সঙ্গে সরাসরি সড়ক পথে কালিম্পং হয়ে সিকিমের যোগাযোগ বন্ধ। তাতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েন পর্যটকরা। বৃষ্টির জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের গেইলখোলার কাছে ধস নেমেছে। নতুন করে কালিঝোরা এবং হনুমান ঝোরায় ধস নেমেছে। এখন বিকল্প রাস্তা হিসাবে সেবকের করোনেশন সেতু হয়ে ওদলাবাড়ি, ডামডিম, গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁও হয়ে কালিম্পং যাচ্ছে যানবাহন।