DA Review Petition Hearing: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ৩১% মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) সংক্রান্ত রিভিউ পিটিশনে রায়দান স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
Ad
শুরু হল কাউন্টডাউন, শেষ বকেয়া ৩১% DA মামলার রিভিউ পিটিশনের শুনানি।
শুনানি শেষ। বকেয়া ৩১% মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) সংক্রান্ত রিভিউ পিটিশনের রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আশা, হাইকোর্টের রায় তাঁদের পক্ষে যাবে। অর্থাৎ বকেয়া ৩১ শতাংশ ডিএ প্রদানের যে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট, তা বহাল থাকবে।
ডিএ মামলার আপডেট
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুরো শুনানি শেষ হয়েছে। আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
শুক্রবার ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের শুনানি শেষ হল। রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কবে রায় দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
রাজ্যের তরফে হাইকোর্টে জানানো হয়, ডিএ নিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তাতে কয়েকটি ত্রুটি আছে।
রাজ্যের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, এর আগে স্টেট ট্রাইনুবাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (স্যাট) দুটি বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছিল। কিন্তু সেই বিষয়গুলি যথাযথভাবে বিচার করেনি হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাশ সামন্তের বেঞ্চ বলেছে, '(এই মামলার) পুনর্বিবেচনার সুযোগ কম।'
গত বুধবার রাজ্যের দায়ের করা রিভিউ পিটিশন এবং কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলা হাইকোর্টে উঠেছিল। তবে সেদিন রাজ্যের তরফে সবপক্ষকে মামলার কপি পাঠায়নি। তাই বৃহস্পতিবার ফের শুনানির ধার্য করা হয়।
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘সরকার এক নম্বরের মিথ্যেবাদী। সরকার যদি এই ধরণের বক্তব্য পরিবেশন করে, তাহলে বলব যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে অবমাননা করেছে রাজ্য সরকার। আগামিদিনে এই সরকারকে কেউ বিশ্বাস করবেন না। কীভাবে একটা রাজ্য সরকার আদালতে মিথ্যে বলতে পারে, সেটা ভেবেই আমরা অবাক হচ্ছি। আদালত যদি আমাদের থেকে হলফনামা তলব করে, তাহলে আমরা পুরো তথ্য দিতে তৈরি আছি।’
রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক বলেছিলেন, 'গত ৩০ অগস্ট রাজ্যজুড়ে কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা দু'ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছিলেন। দার্জিলিং থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত সরকারের বঞ্চনার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে কর্মচারীরা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আমরা শুধু বলব, সরকার যদি কয়েকদিন ইতিবাচক সাড়া না দেয়, আইনি অধিকারে স্বীকৃতি না দেয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। সেজন্য সরকার দায়ী থাকবে। আমরা এটা মেনে নেব না।'