তখন রাত প্রায় ১১টা। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার অন্তর্গত একটি নাকা পয়েন্টে রুটিন চেকিং চালাচ্ছিল পুলিশ। আচমকা এক ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন কর্তব্যরত এক কনস্টেবল। অফিসারের কোমর থেকে রিভলভার ছিনিয়ে নিয়ে নিজের মাথায় গুলি চালালেন তিনি! ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় আদালত চত্বর থেকে উদ্ধার পুলিশের গুলিবিদ্ধ দেহ, তদন্তে লালবাজার
জানা গিয়েছে, ওই কনস্টেবলের নাম বিভাস ঘোষ (বয়স ৩০)। তিনি গোপালনগর থানায় কর্মরত। সোমবার গভীর রাতে থানার এক অফিসারের সঙ্গে নাকা চেকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন বিভাস। দাবি করা হেছে, আচমকা সহকর্মী অফিসারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর রিভলভার কেড়ে নিয়ে নিজের মাথার ডানদিকে গুলি চালান বিভাস। গুলি খুলির ভেতর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এর ফলে ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনায় তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় থানায়। দ্রুত সেখানে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্স। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বিভাসকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বিভাসকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
জানা যায়, ১০ মাইল এলাকায় নাকা চেকিংয়ের আউট পোস্টে ডিউটি পরিবর্তনের সময় এই ঘটনা ঘটে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি গোপালনগর থানার এসএপি ২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে নার্ভের ওষুধ খাচ্ছিলেন বিভাস। বছরতিনেক আগে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের চাকরি পান নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা বিভাস ঘোষ। তিন মাস আগে তাঁর বিয়ে হয়। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। শনিবার সকালে বাড়ি এসেছিলেন জামাইষষ্ঠীতে। এরপর বিকালেই কর্মক্ষেত্রে ফিরে যান বিভাস। তারপরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা। কর্তব্যরত অবস্থায় এমন ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ কেন নিলেন ওই কনস্টেবল? তা জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার চেষ্টা বলেই মনে করছে পুলিশ। কর্তব্যরত অবস্থায় এমন ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ কেন নিলেন ওই কনস্টেবল, তা জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার চেষ্টা বলেই মনে করছে পুলিশ।