রাজ্যে বিধানসভা ভোটের কাউন্টডাউনের মধ্যেই বীরভূমে সমবায় নির্বাচনে বিপুল জয় বিজেপির। কেষ্টর জেলা বলে পরিচিত বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ইটাহাট কৃষি সমবায় সমিতির ৯টি আসনের সবকটিতে জয়লাভ করেছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। তৃণমূল ও বামপন্থীরা প্রার্থী দিলেও পাননি কোনও আসন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বীরভূমের রাজনীতিতে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কোর কমিটির সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে।
ইটাহাট কৃষি সমবায় সমিতির ৯টি আসনের সবকটিতে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপি। বামেরা প্রার্থী দিয়েছিল ৭টি আসনে। রবিবার বিকেলে ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় সবকটি আসনে জয়লাভ করেছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা।
এই জয়ের পর বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, ‘হারবে জেনে তৃণমূল অনেক দিন ধরে ওই সমবায়ে ভোট করাচ্ছিল না। ভোট হতেই হেরেছে। যেখানে অবাধ ভোট হবে সেখানেই হারবে।’
তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ বলেন, ‘নেতৃত্বের গাফিলতির জন্যই এই ফল হয়েছে। ওই এলাকার দায়িত্ব চন্দ্রনাথ সিনহার ওপর রয়েছে। কেন এই ফল হল কোর কমিটির পরবর্তী বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে।’
বলে রাখি, গরু ও কয়লা পাচার দুর্নীতিতে জেলবন্দি থাকাকালীন অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জেলায় দল পরিচালনার জন্য কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন তিনি। অনুব্রত জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কোর কমিটির সঙ্গে পরামর্শ না করেই একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর পর তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে কোর কমিটির সদস্য করে দেয় তৃণমূল। কোর কমিটি পরিচালনার ভার দেওয়া হয় আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অনুব্রতকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর পরই বীরভূমে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে। অনুব্রতর বিরোধী গোষ্ঠীর দাবি, তৃণমূলে থেকে বিজেপিকে সাহায্য করছেন অনুব্রত।