বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার ভোটার তালিকা বিতর্কে রাজনৈতিক মহল সরগরম। ঠিক সেই আবহে একই ধরনের অভিযোগ উঠল বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর ও তাঁর বাবা-মায়ের নাম নেই। এর ফলে তাঁর এ দেশের নাগরিকত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির।
আরও পড়ুন: বনগাঁর বিজেপি বিধায়কের বাবার নাম নেই ভোটার তালিকায়, পদ খারিজের দাবি
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি সব্যসাচী ভট্ট দাবি করেছেন, স্বপন মজুমদার আসলে বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি অভিযোগের পক্ষে বাংলাদেশের দুটি সরকারি নথি বনগাঁ মহকুমা শাসকের কাছে জমা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ২০০২ সালের পরে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন স্বপন মজুমদার। সিএএ আইন কার্যকর হলে বিজেপিরই বিধায়ক-সাংসদদের অনেকেই বেনাগরিক হবেন। স্বপন মজুমদার অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তাঁর মা-বাবা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী হয়ে ভারতে এসেছিলেন। তবে তাঁর জন্মও এই দেশেই। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকলেও তা বাংলাদেশি প্রমাণ করে না। প্রয়োজনে মায়ের জন্য সিএএ-তে আবেদন করাবেন। উল্লেখ্য, বনগাঁ ব্লকের গোপালনগরের পাল্লায় স্বপন মজুমদারের বাড়ি। তাঁর মা জন্মেছিলেন বাংলাদেশে, বাবা-মা দু’জনেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী হয়ে ভারতে চলে আসেন। বাবার মৃত্যুর পর ২০০৮ সালে কর্মসূত্রে গুজরাটে যান স্বপন। সেখানে নির্মাণের ব্যবসা শুরু করেন এবং বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে থেকেই রাজনীতির হাতেখড়ি হয় তাঁর। পরে কিছুদিন মুম্বইতে ব্যবসা করার পর গোপালনগরে ফিরে সক্রিয়ভাবে বিজেপি করা শুরু করেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে প্রথমবার বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই অশোক কীর্তনিয়াকে নিয়ে একই ধরনের বিতর্ক ছড়ায়। নির্বাচন কমিশনের ২০০২ সালের তালিকায় তাঁর নিজের নাম থাকলেও বাবা-মায়ের নাম ছিল না। তৃণমূলের দাবি, এটি নিয়মবিরুদ্ধ। অশোক বলেন, তাঁর বাবা ১৯৫০ সালে বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন এবং নাম না ওঠার দায় সে সময়কার বাম সরকারের।