বাড়ির ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই ‘খুন’ হলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। তার পরও মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোনা এলাকায়। নৃশংসভাবে খুনের এই ঘটনা দেখে শিউরে উঠেছেন গ্রামবাসীরা। পরপর গুলি চালায় আততায়ীরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপও মারা হয়। গোটা ঘটনার তদন্তে বসিরহাট থানার পুলিশ।
এদিকে কেন এভাবে খুন করা হল? সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম আনার হোসেন গাজি (২৫)। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জমি নিয়ে বিবাদ এবং পুরনো শক্রতার জেরে এই ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। গতকাল রাতে আনার মোল্লা তাঁর বাড়ি থেকে কিছু দূরে চায়ের দোকানে ছিলেন। তখন মোটরবাইকে চেপে একদল আততায়ী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আর তার জেরে ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। তখন তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয়। এই ঘটনা ঘটিয়েই দ্রুত মোটরবাইকে চেপে আততায়ীরা চম্পট দেয়।
আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধ শাখায় যুগ্ম কমিশনার পদ, ছাড়পত্র দিল নবান্ন, বাড়তি নজরদারিতে গুরুত্ব
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, আকস্মিক এই ঘটনায় চায়ের দোকানে থাকা লোকেদের মধ্যে প্রথমে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সম্বিত ফিরে পেতেই তাঁরা ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে উদ্ধার করে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। অন্ধকারে হঠাৎই গুলির শব্দ শুনে সকলে চমকে যায়। ১২ থেকে ১৫ জন সশস্ত্র আততায়ী পায়ে হেঁটে এগিয়ে এসে আনার হোসেন গাজিকে গুলি করে এবং পরে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ।
তাছাড়া বসিরহাট থানা থেকেও বিশাল পুলিশ বাহিনী হাসপাতাল চত্বর এবং ঘটনাস্থলে যায়। মৃতদেহ এখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আনার হোসেন গাজি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ছিলেন বলে খবর। একসময় আনার স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের আপ্ত সহয়াকের কাজও করতেন। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই খুন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান জানান, খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজন আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।