পেশায় বাংলাদেশের মডেল। কিন্তু রয়েছে ভারতের আধার কার্ড-ভোটার কার্ড। কীভাবে সম্ভব? মডেলিং পেশার আড়ালে আর কী করতেন বাংলাদেশের শান্তা পাল। পুলিশি তদন্তে আপাতত তারই খোঁজ চলছে। ভারতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধারের পর নতুন করে সন্দেহ ঘনিয়ে উঠছে শান্তাকে নিয়ে।
বাংলাদেশি মডেলের কাছে ভারতের আধার কার্ড
টিভি ৯ বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আধার কার্ড অনুযায়ী পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামের রাজডাঙায় থাকতেন শান্তা। ঠিকানা হিসেবে ওই পরিচয়পত্রে লেখা রয়েছে শান্তা পাল, প্রযত্নে স্বপন পাল, গ্রাম গোপালপুর, রাজডাঙা। ২০২০ সালে তৈরি করা হয়েছে সেই আধার কার্ড। কিন্তু ওই ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, আদতে সেখানে কখনই শান্তা পাল বলে কেউ থাকতেন না।
আরও পড়ুন - স্বামীর সম্পত্তিতে পুত্রের থেকেও বেশি অধিকার বিচ্ছিন্ন স্ত্রীর! মনোনীত না হলেও
কী বলছেন গ্রামবাসীরা?
গত বৃহস্পতিবার পুলিশ শান্তা পাল নামে ওই মডেল তথা অভিনেত্রীকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ কলকাতার বিক্রমগড়ের ফ্ল্যাট থেকে। কিন্তু গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দারা মনেই করতে পারছেন না তাঁর নাম। শান্তা পালের নাম শুনে প্রত্যেকেরই বক্তব্য ওই নামে তাঁরা কোনও মডেল বা অভিনেত্রীকে চেনেন না যিনি ওই এলাকায় বাস করেন। ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মোতাবেক, রাজডাঙা পাড়ায় মূলত তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষজন থাকেন। বড়শুল ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান রমেশচন্দ্র সরকারও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন একই কথা। তাঁর কথায়, ‘এই নামে তাঁদের পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও নাম নেই ভোটার কার্ডে। এটি পুরোপুরি ভুয়ো ঠিকানা।’
আরও পড়ুন - ১ অগস্ট থেকে বদল UPI নিয়মে, ব্যালেন্স চেক থেকে অটো পে…, পাল্টাবে ৫ নিয়ম
কী কী মিলেছে শান্তার থেকে?
২০২৩ সাল থেকেই যাদবপুরের বিজয়গড়ে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে রয়েছেন শান্তা পাল। এরকম আরও বেশ কিছু জায়গায় থাকতেন তিনি। প্রতি স্থানেই আলাদা আলাদা ঠিকানা দিয়ে থাকতেন বলে পুলিশি সূত্রে খবর। বাংলাদেশি মডেলের কাছে শুধু ভারতীয় পরিচয়পত্র নয়, মিলেছে একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্টও। মাধ্যমিক স্তরের অ্যাডমিট কার্ডও পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু বাংলাদেশি নাগরিক কীভাবে ভারতীয় ভুয়ো পরিচয়পত্র পেল? শান্তা পাল আদতে কে? এই নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।