সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে বামপন্থীদের ডাকা ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলেন। সেই ‘অপরাধে’ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ কড়া পদক্ষেপ নিল। দাসপুরের পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ইতিমধ্যেই শো-কজ় নোটিস পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, গত ৯ জুলাই বামপন্থী সংগঠনগুলির দেশব্যাপী ধর্মঘট চলাকালীন ওই পাঁচটি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফলে পঠনপাঠন ও মিড-ডে মিল পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: ক্লাসে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর, পরে গ্রেফতার
জানা গিয়েছে, দাসপুর ২ ব্লকের খুকুড়দহ চক্রের অন্তর্গত সীতাপুর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়, জ্যোৎঘনশ্যাম মশালচক প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোমকপতা নারায়ণচক প্রাথমিক বিদ্যালয়, জ্যোৎঘনশ্যাম ইউনিয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কুচামারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সেদিন কার্যত তালাবন্ধ ছিল। যদিও জেলার অন্যত্র অনেক শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে ধর্মঘটে যোগ দিলেও, পুরো স্কুল বন্ধ রাখার ঘটনা আর কোথাও ঘটেনি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অনিমেষ দে স্পষ্ট জানান, ব্যক্তিগতভাবে ধর্মঘটে যোগ দেওয়া ব্যক্তিগত অধিকার হলেও, সরকারি স্কুল বন্ধ রাখার অধিকার কারও নেই। কেউ যদি ছুটি নিতে চান, নিয়ম মেনে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানাতেই হবে। সরকারি বিধি মেনে চলা সবার বাধ্যতামূলক, বন্ধ বা ধর্মঘটের নামে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা চলবে না।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ঘটনাটি জানার পর অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের কাছ থেকে কারণ জানতে চাইলে, তাঁরা ডেপুটেশন দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর ৯ অগস্ট ওই পাঁচজন প্রধান শিক্ষককে শো-কজ়ের চিঠি পাঠানো হয়। তাঁদের ১৮ অগস্টের মধ্যে লিখিত জবাব দিয়ে সংসদে হাজির হতে বলা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে, নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।