ফের একবার সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি। স্বভাবতই তা রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ধাক্কা। এদিন রাজ্য সরকারের তরফের আইনজীবীরা মামলা পিছনোর আর্জি জানান, তাঁরা জানান, সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারাধীন অন্য একটি মামলায় ব্যস্ত থাকায় এই মামলা তাঁরা পিছোতে চাইছেন। রাজ্য সরকারের তরফের আইনজীবীরা মামলাটি ১০ সেপ্টেম্বরের পর শোনার আর্জি জানান। সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জিতে সায় দিয়েছে। ফলত ১০ সেপ্টেম্বরের পর এই মামলার শুনানি হতে পারে। তবে তা নির্দিষ্ট কোন তারিখে হবে, তা এখনও জানা যায়নি।
বহু আগেই রাজ্যকে ডিএর ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই অঙ্ক মিটিয়ে দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমাও ধার্য করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেই সীমার মেয়াদের মধ্যে রাজ্য সরকারী কর্মীদের আদালত নির্দেশিত ডিএর অংশ মিটিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। পাল্টা রাজ্য, আদালতের কাছ থেকে সময় চেয়ে নেয়। শীর্ষ আদালতের কাছ থেকে রাজ্য ৬ মাস সময় চেয়ে নেয়। সেই আর্জির ভিত্তিতে চলেছে এই মামলা। এই মামলা ঘিরে গত ৪ থেকে ৭ অগস্ট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চে চলে শুনানি। তবে আজ কোর্টরুমে বিচারপতি কারোলের সঙ্গে ছিলেন বিচারপতি সন্দীপ মেহতা। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে বহু আগেই রাজ্য সরকারী সংগঠনের তরফে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা SAT, কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। পরে তা যায় দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের কাছে যায়।
এর আগে, এই ইস্যু ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় ২০২২ সালে কলকাতা হাই কোর্ট সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দেয়। হাইকোর্ট সেবার সাফ জানায়, ডিএ রাজ্য সরকারের কর্মীদের অধিকার। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়, তখনই সরকার সময় চায়। তারা সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনারও আর্জি জানায়।