আলিপুর আদালতে বড় ধাক্কা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। প্রায় ৮ বছর ধরে চলা ডিভোর্স মামলা এদিন খারিজ করে দিল আদালত। হ্যাঁ, স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের থেকে বিবাহবিচ্ছেদ পেলেন না রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মেয়র। ফলে শোভন-বৈশাখীর আইনিভাবে এক হওয়ার রাস্তা ফের বাধাপ্রাপ্ত হল।
ক্রুয়েলটি গ্রাউন্ডে ডিভোর্সের মামলাটি করেছিলেন প্রাক্তন মেয়র। স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মারধর, কটূক্তি, মানহানির মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন শোভন। জানিয়েছিলেন রত্নাদেবী নিজের সন্তানদের দেখাশোনা করেন না, টাকা পয়সা তছনছ করেন। কিন্তু এমন কোনও অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে পারেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফলে, আলিপুর নগর ও দায়রা আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী মামলাটি খারিজ করে দেন।
ওদিকে শোভনের সঙ্গে ঘর করতে চেয়ে পালটা মামলা ঠুকেছিলেন রত্না। সেই মামলাও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। যুক্তি হিসাবে তিনি বলেন, গত ৮ বছর ধরে এক ছাদের তলায় থাকেন না দুজনে, এখন নতুন করে দাম্পত্য শুরু করা সম্ভব নয়। তাই বিবাহিত হলেও দুজনে সেপারেট থাকবেন।
দীর্ঘদিন ধরেই বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর কন্যা মহুলকে নিয়ে একত্রবাস করেন শোভনবাবু। তাঁদের সহবাস নিয়ে কম কটাক্ষ ধেয়ে আসেনি, তবে কোনওকিছুকেই পাত্তা দেননি বৈশাখী-শোভন। বছর খানেক আগে মা দুর্গার সামনে বৈশাখীর সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তখনও উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। নিজের দুই সন্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই শোভন চট্টোপাধ্যায়, এদিন আদালত রত্নার পক্ষে রায় দেওয়ার পর শোভন-রত্না পুত্র ঋষি স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে সব বিবাদ ভুলে বাবাকে একসঙ্গে থাকার আমন্ত্রণও জানিয়েছে ছেলে।