বিধানসভা নির্বাচন হোক বা লোকসভা নির্বাচন এখন ভোটের ময়দানে ক্রিকেট থেকে ফুটবল এবং বিনোদন জগত থেকে সঙ্গীত জগতের তারকাদের দেখা মেলে অহরহ। বহুদিন ধরে সক্রিয় ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। প্রথমে বিজেপির হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে নামেন গায়ক। কিন্তু রাজনীতিতে কীভাবে এলেন বাবুল? তার নেপথ্য নাকি ছিলেন বাবা রামদেব। এবার নিজেই সেই গল্প ভাগ করে নিলেন অভিনেতা।
অভিনেতা সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের টাইম অ্যান্ড টাইড পডকাস্টের এই গল্প ভাগ করে নিয়েছেন বাবুল। তিনি জানান একবার বাবা রামদেবের সঙ্গে একই বিমানে যাচ্ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই এই গল্পের শুরু। বাবুলের কথায়, ‘মাঝের সিটে আমি বসে ছিলাম। ডান দিকে রামদেবজির সেক্রেটারি সিদ্ধার্থ ও বা'দিকে রামদেবজি নিজে বসেছিলেন। ওঁর হাতে একটা লিস্ট ছিল সেটা দেখে দেখে তিনি ফোন করছিলেন। ফোনে বলছিলেন, ‘হ্যাঁ এই ছেলেটি ভালো, এঁকে দেখতে পারেন…’, এরকম। তখন সিদ্ধার্থ আমার সঙ্গে রামদেবজির আলাপ করিয়ে দেন। রামদেবজিকে আমরা টিভিতে যেমন দেখেছি, তিনি একবারেই তাই। আমার সঙ্গে খুব মজা করছিলেন। আমরা হাসছিলাম। আরও সব মজার মজা কথা বলছিলাম আমরা।’
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় সপ্তাহেও বক্স অফিসে ম্যাজিক দেখালো ‘দেশু’! ১৫ দিনে কত কোটি আয় হল 'ধূমকেতু'র?
বাবুল আরও বলেন, ‘তখন আমি আগ্রহ থেকেই ওঁকে জিজ্ঞাসা করি, ‘আপনার হাতে এটা কীসের লিস্ট?’ তিনি বলেন, ‘বিজেপির এবার অনেকগুলো আসনে লড়ছে। এত সিটে আমরা তো কখনও লড়াই করিনি, আমাদের অনেক প্রার্থী লাগবে। তাই আমি কিছু কিছু লোককে রেকমেন্ড করছি। তাঁরা যদি ভালো ভাবে সবটা করতে পারেন, তাহলে তাঁদের হয়তো বিজেপি থেকে টিকিট দেওয়া হবে।' তারপর এই সব নিয়ে কথা বলতে বলতে আমার মনে হয়েছিল এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তখন আমি ওঁকে বলেছিলাম যে, 'আপনি আমার নামটা লিখে নিন। কলকাতার কোথাও একটা টিকিট দিন। আমাকে দাঁড় করান। আমি গ্যারেন্টি দিচ্ছি যে যদি সকলে হেরেও যায়, তাহলেও আমি জিতব।' তারপর আমি ভুলে যায়।'
এর মাঝে বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়। তারপর বাবুলের কাছে আসে ফোন। বাবুলের কথায়, 'একদিন রাত্রে প্রায় সাড়ে ১১ টার সময় মুম্বইতে ফোন এল। দিল্লির নম্বর দেখেই বুঝতে পারলাম, কারণ ল্যান্ড লাইন ছিল। তারপর সেই ফোন ধরতেই রামদেবজির গলা। তারপর তিনি ফোনটা একজনের হাতে দিয়ে আমাকে কথা বলতে বললেন। তিনি ফোন ধরে বললেন, ‘হ্যাঁ বাবুল, আমি রাজনাথ সিংজি বলছি। আপনার পুরো কথা আমি শুনেছি। আপনার তো দারুণ আত্মবিশ্বাস। আপনাকে আমরা টিকিট দেব। আমরা দিল্লি থেকেই তা ঘোষণা করব।’ আর এই ভাবেই গায়ক হয়ে ওঠেন নেতা