মেয়েটির অপরাধ ছিল সে এক দলিত ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সংসার বাঁধতে চেয়েছিল। বাড়ির এবং বাবার অমতে পালিয়ে বিয়েও করেছিল দুজনে। কিন্তু সংসার করা আর হল না। মেয়ে এবং ছেলে দুজনকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দিল মেয়েটির পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আশিওয়ান থানার অন্তর্গত কায়মপুর নিভারওয়ারা গ্রামে। এই ঘটনায় পুলিশ মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে। তার মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ অপহরণ, হত্যা এবং তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি আইনে মামলা রুজু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির বয়স ১৭ বছর এবং সে ঠাকুর সম্প্রদায়ের ছিল। অন্যদিকে, যুবকের বয়স ১৯ বছর। তিনি ছিলেন একজন দলিত। থানার ওসি অখিলেশ তিওয়ারি জানান, মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার একদিন আগে মেয়েটির বাবা যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মঙ্গলবার, যুবকের বাবা মেয়েটির পরিবারের বিরুদ্ধে ছেলেকে অপহরণ, হত্যা এবং খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী সার্কেল অফিসার বাঙ্গারমাউ পঙ্কজ সিং জানিয়েছেন, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ওই যুবক মেয়েটিকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তখনই দুজনকে তুলে নিয়ে যায় মেয়েটির পরিবার। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মেয়েটির পরিবার প্রথমে যুবককে হত্যা করেছিল এবং তারপরে মেয়েটিকে নিয়ে এসে তাদের দুজনকে ফাঁসি দিয়েছিল। যাতে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং শীঘ্রই সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই কিশোর ও যুবক দুজনে মার্চ মাসে একবার পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, এক সপ্তাহের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। মেয়ের আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ঘটনায় যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা ও তার বক্তব্য রেকর্ড করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, মেয়েটি উচ্চবর্ণের ছিল তবে ছেলেটি দলিত হওয়ায় দুজনকে হত্যা করা হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup