তিনি পেরেছেন। প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে পরপর দুটি অলিম্পিক্সে পদক জিতেছেন। বাকিরাও যে আগামিদিনে সেই কাজটা করতে পারবেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই পি ভি সিন্ধুর। ব্রোঞ্জ পদক জয়ের পর ভারতীয় তারকা দৃঢ় ভঙ্গিমায় বললেন, ‘আমি যদি এটা করতে পারি, তাহলে আমি নিশ্চিত যে কেউ করতে পারবেন।’
সিন্ধুর কাজটা অবশ্য এতটা সহজ ছিল না। রিও অলিম্পিক্সে যখন রুপো জিতেছিলেন, তখন তাঁর কাঁধে প্রত্যাশার চাপ তেমন ছিল না। এবার সেই চাপটা ছিল। ১৩০ কোটির মানুষের সেই চাপ সামলেই এবার ব্রোঞ্জ জিতেছেন সিন্ধু। তারপর নিজেও সেই কথাটাই জানান। বলেন, 'এটা অবশ্যই কঠিন পদক। ২০১৬ সালে আমার কোনও প্রত্যাশা বা চার ছিল না। টোকিয়োতে প্রত্যেকে চেয়েছিলেন পদক জিতে ঘরে ফিরি আমি।'
(টোকিও অলিম্পিক্স ২০২০-এর যাবতীয় খবর, আপডেটের জন্য চোখ রাখুন -- এখানে)
শনিবার অবশ্য সেমিফাইনালে হেরে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলেন সিন্ধু। সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে ফাইনালে উঠতে না পারার যন্ত্রণায় ছিলেন। সেখান থেকে কোচের পরামর্শে ঘুরে দাঁড়ান ‘ফাইটার’ সিন্ধুর। যিনি হারতে পারেন। কিন্তু কখনও লড়াই না করে হারতে জানেন না।সিন্ধু বলেন, ‘গতকাল অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে কোচ বলতে থাকেন যে আমাদের হাতে আরও একটি সুযোগ আছে। আমায় পুরনো ভুলে ম্যাচের আগে শান্ত থাকতে হবে। কিন্তু আমি পারিনি। আমি প্রাণপণে ম্যাচ খেলতে চাইছিলাম। আমি যখন ম্যাচের জন্য স্টেডিয়ামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলাম, তখনও ভাবছিলাম, কখন সময় আসবে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।