শুভমনের ক্লান্তি নিয়ে মুখ খুলেছেন সাইমন ডুল। তিনি বলেছেন, ‘শুভমন গিল ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন। সে ততটা বাউন্ডারি মারতে পারেননি যতটা সে পারে। আর এটাই স্বাভাবিক, এটা ঘটতেই পারে। শুনলে এটা বিতর্কিত মনে হতে পারে।’
শুভমন গিলকে নিয়ে সাইমন ডুলের বিতর্কিত মন্তব্য
শনিবার আমদাবাদে গুজরাট টাইটানসের মুখোমুখি হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। এই ম্যাচে টস হেরে গুজরাট টাইটানস প্রথম ব্যাট করতে নামে। শুরু থেকেই গুজরাটের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমন গিল বাইশ গজে ঝড় তোলেন। ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ১৪২ রান তোলেন তাঁরা। তাও মাত্র ৭৩ বলে। ১৪২ রানের পার্টনারশিপে গুজরাট টাইটানসের আইপিএলের ইতিহাসে ওপেনিং জুটির করা সর্বোচ্চ রান। ঋদ্ধি (৪৩ বলে ৮১) এবং শুভমন গিলের (৫১ বলে ৯৪) হাত ধরেই গুজরাট টাইটানস এই মরশুমের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানও করেন। তারা ২ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান তোলে। মাত্র ছয় রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন শুভমন গিল।
ইনিংসের বিরতিতে শুভমন বলছিলেন, ‘আজ বেশ গরম ছিল। তবে আমরা যে ভাবে শুরু করেছি, তার জন্য ঋদ্ধি (সাহা) ভাইকে ধন্যবাদ। আমাদের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাট চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটি একটি ভালো উইকেট ছিল। তবে শুরুর দিকে কিছুটা কঠিন ছিল। কারণ এটি একটি শুষ্ক উইকেট ছিল এবং অদ্ভূত ভাবে বল থমকে আসছিল।’
সেঞ্চুরি মিস করে স্পষ্টতই আফসোস করছিলেন শুভমন। ১৯তম ওভার শেষে ৮৫ রান ছিল শুভমনের। ২০তম ওভারের প্রথম বলে স্ট্রাইকে ছিলেন শুভমনই। বল করতে এসেছিলেন যশ ঠাকুর। প্রথম বলে শুভমন ছক্কাও হাঁকান। পৌঁছে যান ৯১ রানে। তার পর আর এক-আধটা চার ছয়ের দরকার ছিল। সেটা ডেথ ওভারে হওয়াটা কোনও বড় বিষয়ও নয়। বিশেষ করে টিম ভালো জায়গায় থাকলে এবং হাতে উইকেট থাকলে। দ্বিতীয় বলে ২ রান নেন শুভমন। তৃতীয় বলে রান নিতে পারেননি। চতুর্থ বলে ১ রান নিয়ে ডেভিড মিলারকে স্ট্রাইক দেন। পঞ্চম বলে মিলার চার মারেন। শেষ বলে ১ রান হয়। আর সেঞ্চুরি করা হয়ে ওঠেনি শুভমনের। ৯৪ করেই তাঁকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। সেঞ্চুরি মিস নিয়ে শুভমন বলেন, ‘শতরানের কথা শেষ ওভারে আমার মাথায় ছিল। তবে চতুর্থ বলে আমি বাউন্ডারি মারতে পারিনি, তবে আমাদের আরও পাঁচটি ম্যাচ আছে এবং আমি সুযোগ পাব।’
শুভমনের ব্যাটিং প্রসঙ্গে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ব্যাখ্যা করেছিলেন যে ব্যাটারকে অবসর নেওয়ার বিকল্পটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতে হবে যদি সে বড় শট খেলতে না পারে, এই বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে যে রাহুল তেওয়াটিয়ার মতো কাউকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যেতে পারে যা তাদের স্কোরকে আরও কিছুটা বাড়িয়ে তুলতে পারে। শুভমনের ক্লান্তি নিয়ে মুখ খুলেছেন সাইমন ডুল। তিনি বলেছেন, ‘শুভমন গিল ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন। সে ততটা বাউন্ডারি মারতে পারেননি যতটা সে পারে। আর এটাই স্বাভাবিক, এটা ঘটতেই পারে। শুনলে এটা বিতর্কিত মনে হতে পারে, কিন্তু আমি সেই দিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন একজন ব্লোক ৪৫ বলে ৭৫ বা ৮০ করবে এবং বিকেলের তাপ ৪৫ ডিগ্রি থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঠিক আছে গিল ক্লান্ত ছিলেন সেই সময়ে তেওয়াটিয়া আসতে পারতেন, সে তো রিটার্য়ার্ড আউট হয়ে বাইরে চলে যেতে পারত। সে তো রিটায়ার্ট হার্ড হতে পারত।’
ডুল এই বিষয়টির উপরও জোর দিয়েছিলেন যে ক্রিকেটে শত শত মাইলফলক হয় শুধুমাত্র যদি এটি একটি জয়ের কারণ হয়। ডুল বলেন, ‘আমি বারবার বলছি, এই খেলায় মাইলফলক কোনও ব্যাপার না। আমি জানি লোকে তখনও বলবে সেঞ্চুরি মানে সেঞ্চুরি। হ্যাঁ এটা, কিন্তু আপনি যদি জেতেন তাহলে এটি একশো। হেরে গেলে মানে জ্যাক। আমি মনে করি ঠিক সেখানে ছিল যখন একজন লোক বলে যে সে ক্লান্ত এবং বাউন্ডারি মারতে সক্ষম নয়। এবং যদি আপনার ব্যাঙ্কে গোলাবারুদ থাকে তবে তা ব্যবহার করবেন না কেন’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।