৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত পেশাদার ফুটবল খেলার ইচ্ছা থাকলেও, তা বাস্তবে আর সম্ভব হল না বুঁফোর। প্রায় তিন দশকের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন তিনি। পেশাদার ফুটবলকে আলবিদা জানালেন ইতালির কিংবদন্তি গোলকিপার।
জিয়ান্নি বুঁফো।
শুভব্রত মুখার্জি: ২০০৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের স্মৃতি এখনও ইতালির ফুটবল ভক্তদের মনের মনিকোঠায় টাটকা। সেবার ফাইনালে জিনেদিন জিদানের ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। সেই জয়ে আন্দ্রে পিরলো, ফ্যাবিও কানাভারো, নেস্টাদের পাশাপাশি তিন কাঠির নীচে যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি জিয়ান্নি বুঁফো। ফাইনালে ও পেনাল্টি শুট আউটে ফ্রান্সks রুখে দিয়ে নায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনিই। গ্লাভস হাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইতালির পতন রোধ করেছেন।এবার ৪৫ বছর বয়সে এসে পেশাদার ফুটবলের দুনিয়াকে 'গুডবাই' জানালেন ইতালির এই তারকা গোলরক্ষক।
৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত পেশাদার ফুটবল খেলার ইচ্ছা থাকলেও, তা বাস্তবে আর সম্ভব হল না বুঁফোর। প্রায় তিন দশকের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন তিনি। পেশাদার ফুটবলকে আলবিদা জানালেন ইতালির কিংবদন্তি গোলকিপার। ৪৫ বছর বয়সী বুঁফো সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর টুইটারে ছোট্ট বার্তায় জানান তাঁর অবসরের কথা। সঙ্গে জুড়ে দেন ক্যারিয়ারের বিভিন্ন মুহূর্তের এক মিনিটের একটি ভিডিয়ো। লেখেন, ‘এখানেই শেষ বন্ধুরা! আপনারা আমাকে সব কিছু দিয়েছেন। আমিও আপনাদের সব কিছু দিয়েছি। আমরা একসঙ্গে সব লড়াই করেছি।’
তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল পার্মাতে। আর সেখান থেকেই ফুটবলকে বিদায় জানালেন তিনি। ১৯৯৫ সালে ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে তাঁর অভিষেক হয়েছিল মাত্র ১৭ বছর বয়সে। পরে জুভেন্তাস এবং পিএসজিতে খেলেন তিনি।রয়েছে অসংখ্য নজির। উল্লেখ্য মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৯৯১ সালে পার্মার অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন বুঁফো। প্রাথমিক ভাবে মিডফিল্ডে খেলতেন তিনি। তবে তাঁর উচ্চতা ও শারীরিক গড়নের কথা মাথাতে রেখেই তাঁকে গোলকিপার হিসেবে খেলানো শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি গোলরক্ষক হিসেবেই সেরা হয়ে ওঠেন।
পার্মার হয়ে প্রথম ক্ষেত্রে খেলেন ২২০ ম্যাচ। ২০০১ সালে জুভেন্তাসে যোগ দেন তিনি। তিন কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফি দিতে হয়েছিল জুভেন্তাসকে। তুরিনের এই ক্লাবেই কাটিয়েছেন তাঁর ক্যারিয়ারের দীর্ঘতম সময়।
জুভেন্তাসের হয়ে সেরি-এ শিরোপা জিতেছেন মোট ১০টি। ইতালিয়ান সুপার কাপ ৬টি জেতার পাশাপাশি ইতালিয়ান কাপও জেতেন ৫টি। সেরি-এ'তে বর্ষসেরা গোলকিপারের পুরস্কার জিতেছেন ১৩ বার। খেলেছেন ৬৮৫টি ম্যাচ। যা ক্লাব ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৭০৫ ম্যাচ খেলে রেকর্ডটি রয়েছে আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরোর।
সেরি-এ'তে ৯৭৪ মিনিট গোল না খাওয়ার নজির রয়েছে তাঁর। ২০১৮ সালে তিনি যোগ দেন পিএসজি-তে। প্যারিসে এক মরশুম খেলে জেতেন লিগ ওয়ান শিরোপা। ২০১৯ সালে ফের একবার ফিরে আসেন জুভেন্তাসে। দুই মরশুম খেলে ২০২১ সালে পার্মাতে ফিরে যান বুঁফো। গত মরশুমে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট বেশ ভুগিয়েছিল তাঁকে। ২০২২-২৩ মরশুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে খেলছেন মাত্র ১৯ ম্যাচ। পার্মার হয়ে এর পর দুই মরশুমে সব মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচ খেলেন তিনি। ১৯৯৭- ২০১৮ পর্যন্ত দেশের হয়ে খেলেন রেকর্ড ১৭৬ ম্যাচ। ২০০৬ সালে জেতেন বিশ্বকাপ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।