বিলম্বিত ডার্বিতে, শনিবার কল্যাণীর স্টেডিয়ামে দাপটে জ্বলল মশাল! শনিবারের এই ম্যাচ লাল-হলুদ বাহিনীর কাছে কার্যত ছিল অগ্নিপরীক্ষা। এর আগে, তিন ম্যাচে দুটিতে ড্র, আর একটি ম্যাচে হার। এই অবস্থায় কল্যাণীতে লিগের বড় ম্যাচে ময়দানে নামে লাল হলুদ শিবির। ম্যাচের শেষে ৩-২তে সবুজ-মেরুনকে ধরাশায়ী করে জয় পকেটে পোরেন সায়নরা।
বাঙালি তরুণ তুর্কি সায়নরে আগেও বহুবার জ্বলে উঠতে দেখা গিয়েছিল তাবড় ম্যাচে। তবে কল্যাণীর এই ম্যাচে তিনি নিজে গোল করে, তথা গোল করিয়ে, দাপুটে জয় ছিনিয়ে নেন ক্লাবের জন্য। আগাগোড়া তাঁর আক্রমণাত্মক নেতৃত্ব এদিনের ম্য়াচে আলাদা করে নজর কাড়ে। বেশ কিছু সুযোগ ইস্টবেঙ্গল ধরে রাখলে এদিন ম্যাচের স্কোরে সায়নদের দলের পক্ষে আরও কিছু গোল থাকতে পারত।
উল্লেখ্য, এই মরশুমের প্রথম ডার্বি জিতল সায়নদের দল। দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচে জয়ে ফিরতে পারেনি মেহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেছেন জেসিন টিকে, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেভিড লালানসাঙ্গা। প্রথম থেকেই দুই পক্ষ একে অপরকে মেপে নেওয়ার খেলায় ছিল। তবে ম্যাচের শুরুর ৯ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এদিকে, গ্যালারিতে তখন দলকে চনমনে রাখতে গলা ফাটাতে থাকেন মোহন সমর্থকরা। পাল্টা গলাক জোর বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। গ্যালারি জুড়ে মশাল বনাম নৌকার ঝলমলে চেনা মেজাজ দেখা যায়। কল্যাণী স্টেডিয়ামে তখন তুমুল উত্তেজনা। তারই মাঝে ময়দানে আগুন ঝরাচ্ছেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। এদিকে ম্যাচ যত এগোয় ততই খেলার রাশ আসতে থাকে ইস্টবেঙ্গলের হাতে। ম্যাচের একটা সময় হঠাৎই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন মোহনবাগানের অধিনায়ক সন্দীপ মালিক ও ইস্টবেঙ্গলের ডেভিড। সমর্থকেরাও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। যদিও রেফারি এসে দু’দলের খেলোয়াড়দের আলাদা করে দেন। শেষের দিকে মোহনবাগান বেশ কিছু সুযোগ পেলেও তা হারিয়ে ফেলে। লালকার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের আমন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।