ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’র পর সংঘর্ষ বিরতি ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রভাব নিয়ে বহু বক্তব্য প্রকাশ করেছিলেন। ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করে ট্রাম্প একাধিক বক্তব্য রাখেন গত মে মাসে। এদিকে, সদ্য আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানি মন্ত্রী ইশহাক দার বলেই ফেলেছেন যে, ভারত-পাক সংঘর্ষের সময় ভারত তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় রাজি হয়নি। ফলত, পাকিস্তানের মন্ত্রীর বক্তব্যই নরেন্দ্র মোদীর সরকারের এই অবস্থানের সত্যতা প্রমাণিত করে দেয়! ফলত ট্রাম্পের মধ্যস্থতার যে বার্তা খবরের শিরোনাম কেড়েছে, তা পাকমন্ত্রী ইশহাক দারের বক্তব্যে কার্যত ব্যাকফুটে!
মঙ্গলবার আল জাজিরার সাথে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী মহাম্মদ ইশহাক দার বলেছেন যে ইসলামাবাদ মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর কাছে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিষয়টি উত্থাপন করেছিল। যার জবাবে মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন যে ভারত বাইরের হস্তক্ষেপকে সমর্থন করে না। ইশহাক দার ওই সাক্ষাৎকারে বলেন,'ঘটনাক্রমে, যখন ১০ মে সচিব (মার্কিন) রুবিওর মাধ্যমে আমার কাছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আসে... আমাকে বলা হয়েছিল যে পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ স্থানে আলোচনা হবে... ২৫শে জুলাই ওয়াশিংটনে সচিব রুবিওর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় আমরা যখন দেখা করি, তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করি 'ওই আলোচনার কী হল?', তিনি বলেন, ‘ভারত বলেছে যে এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুবার তাঁর দাবি পুনরাবৃত্তি করলেও, ভারত স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছে যে আমেরিকানরা যুদ্ধবিরতি আনতে মধ্যস্থতা করেছিল। এরপর রাশিয়ান তেল কেনা প্রসঙ্গ তুলে মার্কিন মুলুক আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায় ভারতের ওপর। ফলত ভারতের মোট শুল্ক দাঁড়ায় ২৫ শতাংশ। উল্লেখ্য, বছরের শুরুর দিকে গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গিদের হানায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তারপরই পাক টার্গেয়ট লক্ষ্য করে ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। সংঘর্ষ বিরতি হয় ১০ মে।
(এই প্রতিবেদন এআই জেনারেটেড )