দেবীপক্ষ দরজায় কড়া নাড়ছে। মহালয়ার ঘণ্টা বাজতেই শহরজুড়ে শুরু হবে উৎসবের আবহ। হাতে গোনা কয়েক দিনের অপেক্ষা, আর তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শহরের প্রতিটি পুজোমণ্ডপ। এই আবহেই মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে খতিয়ে দেখতে শুরু করলেন প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত লালবাজার, তৃতীয়া থেকেই মোতায়েন থাকবে পুলিশ
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মীরাজ খালিদ এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বেরোন পুজো প্রস্তুতি ঘুরে দেখার কাজে। পুলিশের সূচি অনুযায়ী, এ বার মোট ১২টি নামকরা পুজো মণ্ডপে নজরদারি করা হবে। সূচনা হয়েছে বেহালা নূতন দলের পরিদর্শন দিয়ে। তারপর ধারাবাহিকভাবে বরিশা ক্লাব, বিবেকানন্দ পার্ক অ্যাথলেটিক ক্লাব, অজয় সংহতি, ৪১ পল্লি হরিদেবপুর, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ, কামডহরি পূর্বপাড়া পঞ্চদুর্গা, কেন্দুয়া শান্তি সঙ্ঘ (পাটুলি), বোসপুকুর তালবাগান, বোসপুকুর শীতলামন্দির, চেতলা অগ্রণী এবং সুরুচি সঙ্ঘের পুজোও ঘুরে দেখা হচ্ছে। পুরনো অভিজ্ঞতা বলছে, মহালয়ার পর থেকেই কলকাতার নামজাদা পুজোগুলিতে শুরু হয় দর্শনার্থীদের ঢল। সেই ভিড় সামলাতে প্রশাসনের কপালে ভাঁজ পড়ে প্রায় প্রতি বছরই। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে অগ্নিনির্বাপণ, ট্রাফিক ও নিরাপত্তা সব দিকেই আগে থেকে পরিকল্পনা সঠিক হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতেই পুলিশের এই পরিদর্শন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিটি মণ্ডপেই আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে।
আলোচনায় জোর দেওয়া হচ্ছে, দর্শনার্থীদের প্রবেশ ও নির্গমনের আলাদা পথ রাখার উপর। জরুরি অবস্থায় দ্রুত সরে যাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উপর, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখার উপর। শহরবাসীর কাছে প্রশাসনের বার্তা পরিষ্কার, দুর্গাপুজোয় আনন্দের সঙ্গে নিরাপত্তার কোনও আপস হবে না। উৎসব শুরু হওয়ার আগে থেকেই তাই বড় মণ্ডপগুলির খুঁটিনাটি দেখে নিচ্ছে পুলিশ, যাতে ভিড়ের সময়ে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়।