মীরাটের মার্চেন্ট নেভি অফিসার স্বামী সৌরভ রাজপুতের মতো পরিণতি হবে। স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরে ফেলায় স্বামীকে পিস্তলের বাঁট দিয়ে আঘাত করে হুমিক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে।আর এই ঘটনায় গুরুগ্রামের বাসাই এনক্লেভে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গত মাসেই উত্তরপ্রদেশের মীরাটের মার্চেন্ট নেভি অফিসারের হত্যাকাণ্ডে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। (আরও পড়ুন: কসবায় DI অফিসে ধুন্ধুমার, চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ 'অমানবিক' পুলিশের)
আরও পড়ুন-ওয়ার্ক ভিসা বন্ধের বিল! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগে ভারতীয় পড়ুয়ারা
জানা গেছে, হরিয়ানার ঝাজ্জরের খারমান গ্রামের বাসিন্দা মৌসম পেশায় ক্যাব চালক। দুই বছর প্রেম করার পর পাঞ্জাবের মোগার এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। মৌসমের অভিযোগ, তার পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল না। তাই তারা গুরুগ্রামের বাসাই এনক্লেভে বাড়ি ভাড়া নবীয়ে থাকতেন। মৌসম বলেন, 'রাতের কাজ সেরে সোমবার সকাল ৬টার দিকে যখন আমি বাড়িতে পৌঁছাই, তখন আমার স্ত্রীকে ঘরে ছিল না। যখন আমি বারান্দায় যাই, তখন দেখি আমার স্ত্রী আমার গ্রামেরই বাসিন্দাকে নবীনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছে।' মৌসম তাদের গিয়ে দাঁড়ায় এবং ক্ষোভ উগরে দেয়। মৌসমের অভিযোগ, 'আমি যখন তাদের বাধা দিচ্ছিলাম, তখন নবীন একটি পিস্তল বের করে আমার মাথায় তাক করে। সে পিস্তলের বাঁট দিয়ে আমার মাথায়ও আঘাত করে। আমাদের প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তারা পালিয়ে যায়।' পাশাপাশি তাঁকে মীরাট খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে, খবর পেয়েই মৌসমের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। এফআইআর দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত মৌসমের স্ত্রী বা তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি হয়েছে।
আরও পড়ুন: রেপো রেট পরিবর্তনে কতটা কমতে পারে গাড়ি-বাড়ির জন্যে নেওয়া ঋণের EMI?
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের মীরাটের মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতের হত্যার অভিযোগ উঠেছিল মুসকান ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত যত এগিয়েছে, তত সামনে এসেছে স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি এবং তার প্রেমিক সাহিল শুক্লার নানা কীর্তি।স্বামী সৌরভকে খুন করে দেহ ১৫ টুকরো করে নীল রঙের ড্রামে ভরা হয়েছিল। ড্রামের মুখ এঁটে দেওয়া হয়েছিল সিমেন্ট দিয়ে। গত ১৮ মার্চ মার্চেন্ট নেভি অফিসার খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ১৯ মার্চ গ্রেফতার হন তাঁর স্ত্রী এবং প্রেমিক। জানা যায়, বিদেশ থেকে ফেরা স্বামীকে পরিকল্পনা করে খুন করেন মুসকান। তাকে সাহায্য করেন প্রেমিক।