
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
পৌলমী ঘোষ
যখন রাজনীতিবিদরা ধর্মকে ব্যবহার করা বন্ধ করে দেবেন তবে যাবতীয় ঘৃণা বন্ধ হয়ে যাবে, জানালেন বিচারপতি যোশেফ। সুপ্রিম কোর্ট বুধবার এনিয়ে একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন। এই ধরনের ঘৃণাসূচক ভাষণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তারপরই এনিয়ে পর্যবেক্ষণগুলি জানিয়েছে আদালত।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই ঘৃণা ভাষণ একটি পাপ চক্র।আর রাষ্ট্র এক্ষেত্রে একেবারে অক্ষম। কোনও পদক্ষেপ নেয় না। যখন রাজনীতিবিদরা ধর্ম ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন তবে এসব( ঘৃণা) বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের সাম্প্রতির রায়দানে আমরা জানিয়েছি রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিশিয়ে ফেলার বিষয়টি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এটা ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষেও বিপজ্জনক। জানিয়েছেন বিচারপতি যোশেফ।
বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, সমাজের কম গুরুত্বপূর্ণ অংশ থেকেও অপরজনকে অপদস্থ করার জন্য নানা ধরনের ভাষণ দেওয়া হচ্চে। এমনকী টিভিতে, পাবলিক ফোরামেও এসব চলছে।
সেই প্রসঙ্গে বিচারপতিদের বেঞ্চ জওহর লাল নেহেরু, অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। বিচারপতি নাগারত্ন জানিয়েছেন, আমরা কোথায় যাচ্ছি? আমাদের নেহেরু ও বাজপেয়ীর মতো বক্তারা ছিলেন। গ্রাম থেকেও মানুষ এসে তাঁদের বক্তব্য শুনতে আসতেন।
এর সঙ্গে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, রাষ্ট্র পুরো অক্ষম হয়ে গিয়েছে। সময়ে কাজও করছে না। যদি আপনারা চান যে আমরা প্রতিক্রিয়া ব্য়ক্ত করব তবে আমরা এনিয়ে বলে যাব। আমাদের রাষ্ট্র কেন রয়েছে?
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, আবেদনকারী তামিলনাড়ু ও কেরলে বলা কিছু ঘৃণাসূচক ভাষণকেও এর সঙ্গে যুক্ত করতে পারতেন। ডিএমকে পার্টির নেতা বলেছেন, যদি আপনি সমতা চান তবে সমস্ত ব্রাহ্মণকে কচুকাটা করে ফেলা দরকার। তুষার মেহেতা বলেন, আসলে তিনি যেহেতু বিখ্য়াত সেকারণে তার বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
ওই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে,প্রত্যের ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আমরা সংবিধান মেনে চলি। আমাদের আইনের কাঠামোতে এগুলোই একটা করে ইঁট। আমরা এই পিটিশন শুনছি কারণ রাষ্ট্র এনিয়ে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারণ রাষ্ট্র এক্ষেত্রে অক্ষম, ক্ষমতাহীন, সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেয় না। যদি রাষ্ট্র এভাবে চুপ করে বসে থাকে তবে তার আর দরকারটা কী?
এদিকে তুষার মেহেতা বলেন, কোনও রাজ্যের কথা বলতে পারব না, তবে কেন্দ্র কিন্তু নয়। কারণ কেন্দ্র পিএফআইকে নিষিদ্ধ করেছে। তবে কেরলের বিরুদ্ধে নোটিশ ইস্যু করা যেতে পারে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports