Jodhpur Violence: সোমবারের পর মঙ্গলবারও সংঘর্ষ বাধে যোধপুরে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে জালোরি গেটের কাছে ইদগাহে নামাজ আদায়ের পর ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, সকালে আবারও জালোরি গেটে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।
ইদে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ যোধপুরে, জখম ৪ পুলিশ (ছবি - টুইটার)
সচিন সাইনি
ফের একবার সাম্প্রদায়িক হিংসার সাক্ষী থাকল রাজস্থান। সোমবার গভীর রাতে যোধপুরের জালোরি গেট এলাকার কাছে দুই সাম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। ইদের আগে ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয় বলে জানা যায়। এর জেরে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ব্যবহার করে পুলিশ। এই ঘটনায় চার পুলিশসহ অনেকে জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই সংঘর্ষের পরই প্রশাসন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে সোমবারের পর মঙ্গলবারও সংঘর্ষ বাধে যোধপুরে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে জালোরি গেটের কাছে ইদগাহে নামাজ আদায়ের পর ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, সকালে আবারও জালোরি গেটে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে কিছু যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। গেহলট বলেন, এই ঘটনা 'অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক'। ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করার ঘোষণা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, যোধপুর গেহলটের জায়গা। জানা গিয়েছে, সকালের হিংসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে। শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি বাণিজ্যিক এলাকা জালোরি গেটে ইদের আগে একটি সম্প্রদায়ের কিছু লোক ধর্মীয় পতাকা লাগানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। সেই সময় অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা আপত্তি তোলে, যার ফলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং সংঘর্ষ হয়। সেই খবর আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়লে উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন জড়ো হয়। পুলিশ তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করে। পরে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। কিন্তু পরে দুই সম্প্রদায়েরই লোকজন আবার সেখানে জড়ো হয়ে পাথর ছুড়তে থাকে একে অপরকে লক্ষ্য করে।