মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থান নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হিন্দিতে 'চু***য়া' বলে সম্বোধন করলেন সে দেশেরই রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং অধ্যাপক ক্যারল ক্রিস্টিন ফেয়ার। তাও একবার নয়, পর পর দুবার। আর লাইভ সাক্ষাৎকারে তাঁর আপত্তিকর মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্বজুড়ে। ইতিমধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাংবাদিক মোঈদ পিরজাদা ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তান সম্পর্কে প্রশ্ন করছিলেন। পাশাপাশি তিনি মার্কিন নীতি এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। উত্তরে অধ্যাপক ক্যারল ক্রিস্টিন ফেয়ার বলেন, 'ছয় মাস কেটে গেছে। কিন্তু এই 'চু***য়া'-কে এখনও চার বছর সহ্য করতে হবে। এই উত্তর শুনে পীরজাদাও হেসে ফেলেন। এই কথা শুনে পিরজাদা হেসে বলেন, 'এটা সেই শব্দ যা আমি প্রায়শই উর্দুতে ব্যবহার করি!কিন্তু আমার বহু দর্শকই এর বিরোধিতা করেন। কিন্তু আপনি ইংরেজিতে আলোচনার সময় এই শব্দ ব্যবহার করছেন।' এরপরেই ক্যারল আবার সেই শব্দটি পুনরাবৃত্তি করে বলেন যে ট্রাম্প আসলে এটাই। এরপরেই ওই অধ্যাপক ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও সমালোচনা করেন। ক্যারল বলেন, 'এটি দুর্ভাগ্যজনক যে ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা তাদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নন। আমি জানি যে চার বছর পরে আমি এই দেশে থাকতে পারব না।'
আরও পড়ুন-হঠাৎই ইউ-টার্ন ট্রাম্পের! ৬ লক্ষ চিনা শিক্ষার্থীর জন্য দুয়ার খুলছে US, কারণ কী?
এরপর সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি ওই হিন্দি শব্দটি কোথা থেকে শিখেছেন। উত্তরে ক্যারল বলেন, তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় বহুদিন কাটিয়েছেন। তার অনেক বন্ধু ভারত এবং পাকিস্তানের। তিনি পাঞ্জাব এবং হায়দরাবাদের অনেক মানুষকে চেনেন। তিনি এই শব্দটি তাদের কাছ থেকেই শিখেছেন। আসলে, ক্যারল মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর্তৃক বিভিন্ন দফতর থেকে অফিসারদের অপসারণের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'বিদেশ মন্ত্রক থেকে অনেক লোককে অপসারণ করা হয়েছে। এর ফলে আমরা অনেক বিশেষজ্ঞকে হারিয়েছি।'
আরও পড়ুন-হঠাৎই ইউ-টার্ন ট্রাম্পের! ৬ লক্ষ চিনা শিক্ষার্থীর জন্য দুয়ার খুলছে US, কারণ কী?
ক্যারল ক্রিস্টিন ফেয়ার জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি একজন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এবং সামরিক ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। তিনি আফগানিস্তানেও অনেক সময় কাটিয়েছেন। এর পাশাপাশি, তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং লস্কর-ই-তৈবার উপর বই লিখেছেন।