আইনমন্ত্রী বলেন, 'সমলিঙ্গে বিয়ের বিষয়টি আমি দেশের মানুষে কাছে ছেড়ে দিতে চাইছি। এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের আলাদা মতামত থাকতেই পারে। তবে, বিষয়টি নিয়ে সংসদে বিতর্ক হওয়া দরকার। সংসদের তৈরি আইনের সংশোধনের প্রয়োজন মনে করলে, সেক্ষেত্রেই সুপ্রিম কোর্ট তার মতামত জানাতে পারে।'
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু
সমলিঙ্গে বিবাহ নিয়ে সিদ্ধন্ত নেওয়ার অধিকার 'মানুষের ওপর' ছেড়ে দেওয়ার বার্তা দিলেন আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি দাবি করেন, দেশের মানুষের মতের প্রতিফলন ঘটে সংসদে। এই আবহে সংসদকেই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে সমলিঙ্গে বিবাহ নিয়ে মামলার শুনানি চলছে। সেখানে এই বিষয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে হলফনামা পেশ করেছে সরকার। আর এরই মাঝে গত শুক্রবার ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে আইনমন্ত্রী বলেন, 'সংসদে পাশ হওয়া কোনও আইন যদি সংবিধানের চেতনা অনুসরণ না করে, তাহলে সুপ্রিম কোর্ট সেটা পরিবর্তন করতে পারে। তবে সমপ্রেমী বিয়ের বিষয়টি আমি দেশের মানুষে কাছে ছেড়ে দিতে চাইছি। এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের আলাদা মতামত থাকতেই পারে। তবে, বিষয়টি নিয়ে সংসদে বিতর্ক হওয়া দরকার। সংসদের তৈরি আইনের সংশোধনের প্রয়োজন মনে করলে, সেক্ষেত্রেই সুপ্রিম কোর্ট তার মতামত জানাতে পারে।' (আরও পড়ুন: দমদম থেকে ছুটতে শুরু করল নতুন মেট্রো, চিনে তৈরি এই ‘ডালিয়ান’ রেকের বিশেষত্ব কী?)
কিরেণ রিজিজু বলেন, 'যে কোনও লিঙ্গের নির্দিষ্ট ভাবে জীবনযাপন করতেই পারেন। কিন্তু আপনি যখন বিয়ের কথা বলছেন, তখন সেটা একটা প্রতিষ্ঠান... বিভিন্ন বিধান ও আইন দ্বারা পরিচালিত হয় এটা। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ইচ্ছে মতো চলাফেরা করার মৌলিক অধিকার রয়েছে। তবে তা আইন মেনে হতে হবে। বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানে মানুষের ভাবাবেগ জড়িয়ে আছে। তাই কারও ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে এমন কাজ করা উচিত নয়।'
প্রসঙ্গত, ভারতে সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো সম্প্রতি এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই সমলিঙ্গে বিবাহের দাবিতে দায়ের করা এই আবেদন খারিজ করার দাবি জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিয়ে হলফনামা পেশ করা হয় আইন মন্ত্রকের তরফে। দায়ের করা হলফনামায় বলা হয়, 'সমলিঙ্গের সম্পর্ককে ভারতীয় পারিবারিক সম্পর্কের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। ভারতীয় পরিবারের ধারণা হল স্বামী, স্ত্রী এবং তাদের সন্তান।' কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়, সমলিঙ্গের সম্পর্ককে আইনি বৈধতা দেওয়ার মানে এই নয় যে সমলিঙ্গের বৈবাহিক সম্পর্ককে বৈধতা দিতে হবে। 'সামাজিক কারণে' সমলিঙ্গে বিবাহের বিরোধিতা করে কেন্দ্র।