তৃণমূলের সংসদীয় কমিটিতে এবার কে কে থাকছেন? সেই তালিকা সামনে এল এবার। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নব নির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে বৈঠক বসেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে লোকসভার নেতা হিসাবে থাকছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, ডেপুটি লিডার থাকছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। চিফ হুইপ থাকছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, রাজ্যসভার নেতা হিসাবে থাকছেন ডেরেক ও ব্রায়েন। ডেপুটি লিডার হিসাবে থাকছেন সাগরিকা ঘোষ, চিফ হুইপ হচ্ছেন নাদিমুল হক। চেয়ারপার্সন হিসাবে থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজেই। এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কী বললেন মমতা?
বৈঠক শেষে মমতা বলেন, 'আমাদের ৩-৪টে সিটে জোর করে হারানো হয়েছে। এই জয়ের উৎসব পালন করা হবে ২১ শে জানুয়ারি।
মনে হচ্ছে যেন একটা লুঠের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ২০১৯সালে লোকসভা ভোটে আমরা বিধানসভায় এগিয়ে ছিলাম ১৬১ আসনে। আর গতবারে বিজেপি ছিল ১২১টি।
২০২৪ এর ভোটে বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ৯০টাতে।
সাট্টাবাজার, শেয়ার বাজারে বড় স্ক্যাম হয়েছে। আমরা এমপিদের পরিস্কার বলেছি আমরা বসে থাকার জন্য় যাচ্ছি না। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখব। মোদীকে কেউ চায় না। এত বড় হারের পরে মোদী বাবুর উচিত ছিল এটা ছেড়ে দেওয়া। '
ডেরেক, নাদিম, দোলারা হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হবে। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন আমি শেয়ার বুঝি না। কিন্তু শেয়ার বাজার এমন হল কী করে?
এদিকে এবার কলকাতা উত্তর আসনটি ছিল তৃণমূলের কাছে কঠিন লড়াইয়ের জায়গা। সেখানে একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। তাপস রায় বনাম সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাপস রায় একটা সময় ছিলেন তৃণমূলেই। পরবর্তী সময় টিকিট না পেয়ে তিনি বিজেপিতে চলে যান। এদিকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় জিতে যাওয়ার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে এবার এই আসনটি পাখির চোখ করে দেখছিল বিজেপি। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছে তৃণমূল। জিতে গিয়েছেন বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
এবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তৃণমূলের তরফে লোকসভার নেতা হিসাবে গণ্য় করা হয়েছে। এর আগেও তিনি ওই পদে ছিলেন। তাঁকে ফের সেই পদে রাখা হয়েছে। ডেপুটি লিডার থাকছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। চিফ হুইপ থাকছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, রাজ্যসভার নেতা হিসাবে থাকছেন ডেরেক ও ব্রায়েন। ডেপুটি লিডার হিসাবে থাকছেন সাগরিকা ঘোষ, চিফ হুইপ হচ্ছেন নাদিমুল হক। চেয়ারপার্সন হিসাবে থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজেই।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে।