ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার সেনাদের পরিবারকে সক্রিয়ভাবে আইনি সহায়তা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নালসা বীর পরিবার সহায়তা যোজনা ২০২৫ নামে নতুন এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল ভারতীয় সেনারা যখন কঠোর ভূখণ্ড এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত থাকেন তখন তাদের অভ্যন্তরীণ আইনি বোঝা থেকে মুক্তি দেওয়া। এই যুগান্তকারী পদক্ষেপের বার্তা হল আপনি সীমান্ত রক্ষা করুন, আমরা আপনার পরিবারের যত্ন নেব।
শনিবার শ্রীনগরে এক সম্মেলনে জাতীয় আইন পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি বিচারপতি সূর্য কান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের সূচনা করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের বলি! সেপটিক ট্যাঙ্কে ৭৯৬ শিশুর সমাধি, নারকীয় ঘটনা আয়ারল্যান্ডে
অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে এই কর্মসূচির উৎপত্তি। এই বিষয় সম্পর্কে অবগত একাধিক সূত্র মারফত খবর, অপারেশন সিঁদুর অভিযানের সময় বিচারপতি সূর্য কান্ত সশস্ত্র বাহিনীর ত্যাগে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। বিচার বিভাগ কীভাবে তাদের কল্যাণে আরও সরাসরি অবদান রাখতে পারে তা অনুসন্ধান শুরু করেছিলেন।সূত্র মতে, বিচারপতি সূর্য কান্ত মন্তব্য করেছেন যে, ব্যক্তিগত আইনি সংকট মোকাবেলায় দেশকে রক্ষাকারী সেনাকে যাতে একা ছেড়ে দেওয়া না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আইনজীবি সম্প্রদায়কে অবশ্যই নিজেদের ভূমিকা পালন করতে হবে। এই চিন্তাভাবনাই জাতীয় আইন পরিষেবা কর্তৃপক্ষ বীর পরিবার সহায়তা যোজনায় পরিণত হয়েছে, যা সূর্য কান্ত ২৪ নভেম্বর ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে চালু করতে চলেছেন।
আরও পড়ুন-বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের বলি! সেপটিক ট্যাঙ্কে ৭৯৬ শিশুর সমাধি, নারকীয় ঘটনা আয়ারল্যান্ডে
নতুন প্রকল্পটি দীর্ঘদিনের একটি সমস্যার সমাধানের জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন এলাকায় নিযুক্ত সেনাদের প্রায়শই পারিবারিক সম্পত্তি, গার্হস্থ্য বিরোধ বা জমি সংক্রান্ত আইনি মামলাগুলি অনুসরণ করার ক্ষমতা থাকে না। উদাহরণস্বরূপ, জম্মু ও কাশ্মীরে নিযুক্ত একজন সেনাকর্মীর বাড়ি যদি কেরল বা তামিলনাডুতে হয় তাহলে তাঁর পক্ষে সম্ভব হয় না নিজের বাড়িতে এসে আইনি কার্যক্রমে উপস্থিত হওয়া। সবসময় সেই সুযোগ বা ছুটি নাও থাকতে পারে।এই প্রকল্পের অধীনে, এনএএলএসএ সারা দেশের আদালতে এই ধরনের মামলাগুলি সঠিকভাবে উপস্থাপন করার জন্য হস্তক্ষেপ করবে। এই সহায়তা সীমান্তরক্ষী বাহিনী, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এবং একইভাবে বিচ্ছিন্ন এবং উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে কাজ করা অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীর কর্মীদেরও প্রদান করা হবে।