বাংলাদেশের ময়মনসিংহে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাড়িটি কীভাবে পুনর্নির্মাণ করা যায় তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। এর আগে বাংলাদেশে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভাঙার ঘটনায় ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এমনকী সেই বাড়ি সংরক্ষণের বিষয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করার প্রস্তাবও দেয় দিল্লি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বাড়িটি ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলেন যে, সেই বাড়িটি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এরপরই এই বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: চিনা মাদক পাচারের অভিযোগে আমেরিকায় ধৃত পঞ্জাবি গ্যাংস্টার, কে এই ওপিন্দর সিং?)
আরও পড়ুন: কচ্ছিভু নিয়ে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ স্ট্যালিন, প্রশ্নবাণ জয়শংকরকে
এর আগে জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলে সেখানে নতুন শিশু অ্যাকাডেমি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহম্মদ ইউনুসের সরকার। ময়মনসিংহের হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি এমনিতেই বহুকাল ধরে ভগ্নদশায় কোনওমতে দাঁড়িয়ে ছিল। ‘দ্য ডেইলি স্টারের’ একটি প্রতিবেদন অনুসারে, উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর বাড়ি - একটি বিশিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন - এর আগে ময়মনসিংহ শিশু একাডেমি হিসাবে এই বাড়িটি ব্যবহৃত হত। তবে, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক সম্পত্তিটি বছরের পর বছর ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। (আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে জরুরি অবতরণের আগে 'প্যান প্যান প্যান' কল গোয়াগামী ইন্ডিগো বিমানের)
আরও পড়ুন: আমেরিকার আলাস্কায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, জারি সুনামি সতর্কতা
এই আবহে গত মঙ্গলবার ভারত সরকার জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের ময়মনসিংহে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক সম্পত্তি মেরামত ও পুনর্নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। এর আগে, এদিন এক প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, মহম্মদ ইউনুসের শাসনে থাকা বাংলাদেশে উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরীর ভিটে ভাঙার কাজ চলছে। ঘটনার খবর পেতেই ক্ষোভ উগরে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই, ওই বাড়িটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার্থে দিল্লির জোরালো বার্তা যায় ঢাকার কাছে। এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘বাংলা সাংস্কৃতিক নবজাগরণের প্রতীক ভবনটির ঐতিহাসিক মর্যাদা বিবেচনা করে, ধ্বংসের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা ভালো এবং এটিকে সাহিত্যের মিউজিয়াম এবং ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা যায় কিনা তার জন্য এর মেরামত ও পুনর্নির্মাণের বিকল্পগুলি খতিয়ে দেখা হোক। ভারত সরকার এই উদ্দেশ্যে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।’