বুধবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৩। এরপরই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেখানে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অর্থাৎ এনসিএসের তরফে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এর আগে ১৯৬৪ সালে আলাস্কায় ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এরপর গতকাল এত বড় একটি ভূমিম্প হল সেখানে। (আরও পড়ুন: আজই শেষ আলোচনা, ট্রাম্প বললেন- 'ভারতের সাথে শুল্ক চুক্তির খুব কাছাকাছি আমেরিকা')
আরও পড়ুন: চিনা মাদক পাচারের অভিযোগে আমেরিকায় ধৃত পঞ্জাবি গ্যাংস্টার, কে এই ওপিন্দর সিং?
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল স্যান্ড পয়েন্ট শহর থেকে ৮৭ কিলোমিটার দক্ষিণে, মাটির ২০ কিলোমিটার গভীরে। আলাস্কার পালমারে অবস্থিত জাতীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, 'এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামি আছড়ে পড়তে পারে। এর কিছু প্রভাব পড়তে পারে আলস্কার কিছু অঞ্চলে।' (আরও পড়ুন: প্রথম স্ত্রী থাকাকালীন কি দ্বিতীয় স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে বাধ্য স্বামী?)
এনডব্লিউএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে যে অঞ্চলগুলিতে সুনামি আছড়ে পড়তে পারে, সেগুলি হল - হোমার অঞ্চল (কেনাই উপদ্বীপ বরো), কোল্ড বে (শহর অঞ্চল), কোডিয়াক স্যান্ড পয়েন্ট এবং কিং কোভ (আলেউটিয়ানস পূর্ব বরো), উনালাস্কা (আলেউটিয়ান পশ্চিম আদমশুমারি অঞ্চল), ইউনিমাক দ্বীপ, স্কচ ক্যাপ অঞ্চল, চিগনিক বে অঞ্চল (এই অঞ্চলের জন্য পরে অবশ্য সতর্কতা শিথিল করা হয়েছিল)। এই সব এলাকায় বাসিন্দাদের অবিলম্বে উঁচু জমি খুঁজতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে কোল্ড বে-র জনসংখ্যা নাকি মাত্র ৫২, স্যান্ড পয়েন্টের জনসংখ্যা ৬১০, কোডিয়াক বরোর জনসংখ্যা ৫২২০।
১৯৬৪ সালের মার্চ মাসে আলাস্কায় উত্তর আমেরিকায় রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৯.৩। সেই ভূমিকম্পের জেরে সুনামি হয়েছিল। ভূমিকম্প এবং সুনামির জেরে সেই সময় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। এদিকে আজও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুনামি আলাস্কাতেই আঘাত হেনেছিল বলে জানা যায়। সেটি ঘটেছিল ১৯৫৮ সালের ৯ জুলাই। সেবার নাকি সুনামির ঢেউ ৫৩৫ মিটার উঁচু ছিল। আর সেবার ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৮। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে আলাস্কায় ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে কয়েকটি আফটার শক ছাড়া বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি সেবার।