মঙ্গলবার জিও টিভি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভার ফাঁকে ২৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করতে পারেন। কাতার ও সৌদি আরব শেহবাজ-ট্রাম্প বৈঠকে তাদের সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে, জানা যাচ্ছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার কথা থাকলেও সেখানে যাচ্ছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর জায়গায় ভারতের তরফে প্রতিনিধিত্ব করবেন এস জয়শংকর।
জিও টিভির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে বৈঠকে পাকিস্তানের বন্যা, পাকিস্তান-ভারত পরিস্থিতি এবং কাতারের উপর ইজরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা সহ একটি বিস্তৃত এজেন্ডা থাকতে পারে। জেনারেল আসিম মুনির ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে একটি বিরল একক বৈঠক করার কয়েক মাস পরে এই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফ যাচ্ছেন আমেরিকা। নিঃসন্দেহে তা ভারত-পাক কূটনৈতিক আঙিনা থেকে একটি বড় খবর। জানা যায় শেষবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সন্ত্রাস ইস্যুতে কথা হয়, এছাড়াও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়েও আলোচনা হয়।
জুন মাসে ট্রাম্প-মুনির বৈঠকটি মে মাসে ভারতের সাথে পাকিস্তানের সশস্ত্র সংঘাতের পরে হয়েছিল। জিও টিভি অনুসারে, পাকিস্তানের দূতাবাস এখনও পর্যন্ত শরিফ-ট্রাম্পের বৈঠক সম্ভাবনা সম্পর্কে মন্তব্য করা বা অস্বীকার করা এড়িয়ে গিয়েছে।
(ICCর জবাবে ঢোঁক গিলছে PCB? সূর্যকে নিয়ে ঘৃণ্য মন্তব্য ইউসুফের, খবরে আফ্রিদিও )
ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে থেকে বেশ কিছু দিক উঠে আসছে। সদ্য পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর সাথে ফোনে কথা বলেন। ফোনালাপে উভয়ই সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তান-মার্কিন সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এর আগে জুলাই মাসে দু'জনে সাক্ষাৎ করেছিলেন, যার পরে ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটন বাজারে প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং শুল্ক হ্রাস করার লক্ষ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করেছিলেন। উল্লেখ্য, মার্কিন পারস্পরিক শুল্কের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন ১৯ শতাংশ শুল্ক পাকিস্তানের ওপর চাপিয়েছে। যেখানে ভারতের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক ও পরে রাশিয়ান তেল কেনার প্রসঙ্গ তুলে আমেরিকা আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায়। সব মিলিয়ে ভারতের ওপর আসে ৫০ শতাংশ শুল্কের বোঝা। এই পরিস্থিতিতে সদ্য দিল্লিতে বাণিজ্য বৈঠক চলছে আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে। আর সেই আবহে আগামী সপ্তাহেই আমেরিকার ট্রাম্পের মুখোমুখি হবেন পাকিস্তানের শরিফ।