বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বিজেপি নেতারা যখন গলা ফাটাচ্ছেন তখন বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় দেখা যাচ্ছে হাজার হাজার পড়ুয়া স্কুলছুট হচ্ছে। এই তথ্য সামনে আসায় হইচই পড়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে ত্রিপুরা সরকার ‘বিদ্যালয় চলো অভিযান’ কর্মসূচি নিচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে আর্ন উইথ লার্ন অর্থাৎ শিক্ষার পাশাপাশি রোজগার প্রকল্প গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা শিক্ষা দফতর।
কী বলছেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী? এই বিষয়ে আজ, শনিবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জেরে রাজ্যের ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রায় ৮,৮৫০ ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয়ছুট হয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও অনেক ছাত্রছাত্রী স্কুলছুট থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সকল ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখী করার উদ্দেশে এবং তাদেরকে শিক্ষার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে এই প্রকল্প গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সকল মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাজে লাগানো হবে স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের গণ্ডিতে নিয়ে আসার জন্য।’
কেমন করে তা করা হবে? এই বিষয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এই অভিযান সফল করতে রাজ্যে ডোর টু ডোর সমীক্ষা করা হবে। মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তাদের নিজ নিজ মহাবিদ্যালয়ে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করা হবে। বিদ্যালয়ছুট শিক্ষার্থীদের চিহ্নিতকরণ এবং স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের সাম্মানিক হিসেবে প্রতি ভর্তি পিছু ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রছাত্রী প্রয়োজন।’