উত্তরপ্রদেশে ভোট শুরুর আগের রাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎকার দেন সংবাদসংস্থা এএনআইকে। ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফা ভোট পর্ব চলেছে ২০২২ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে। ঠিক তার আগে রাতে সম্প্রচারিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎকার। সেখানে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে শুরু করে, লখিমপুর, ফিরোজপুরকাণ্ড, কংগ্রেস তথা রাজনৈতিক শিবিরের পরিবারবাদ নিয়ে একাধিক বক্তব্য রেখেছেন মোদী। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে কৃষি আইনের মতো বিষয়ও। যা উত্তপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হয়।
ঠিক উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের হাইভোল্টেজ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার আগের রাতে এই সাক্ষাৎকার নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে কথা বলেনি বিজেপিকে। কংগ্রেসের তরফে অভিষেক মনু সিংভি বলেন, 'অনেক বেশি ছল, বাস্ত ইস্যুগুলিতে ন্যায় বিচার হল না। এটা সাক্ষাৎকার নয়, বরং প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভাষণ।'এদিকে, সাক্ষাৎকারে পঞ্জাব প্রসঙ্গে মোদীর বক্তব্য নিয়ে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেসের মহিলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নগমা লেখেন টুইটে, 'কী মাথ্যাচার!' এদিকে, কটাক্ষের সুরে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কন্ফারেন্সরে নেতা ওমর আবদুল্লাহ বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন, উত্তরপ্রদেশে প্রতিটি ভোটিং পর্বের আগেই কি এভাবে সাক্ষাৎকার দেবেন মোদী? উল্লেখ্য, গতকালের সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদী রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র নিয়ে মুখ খোলেন। সেখানে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনীতিতে নাম না করে তা আবদুল্লাহ পরিবারের প্রসঙ্গ তোলেন।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফা ভোটের আগের রাতে এভাবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে সমাজবাদী পার্টিও। কটাক্ষের সুরে তাদের দাবি, বিজেপি বিচলিত বলেই এমন সাক্ষাৎকার সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের প্রেক্ষাপটে সেখানে সমাজবাদী পার্টির অন্দরে একই পরিবারের ৪৫ জন সদস্য পার্টির বিভিন্ন পদে থাকার প্রসঙ্গ তুলে এএনআইয়ের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কটাক্ষ করেন মোদী। নাম না করে তোপ দাগেন অখিলেশের বিরুদ্ধেও। উল্লেখ্য, দেশের বহুবিধ রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে এই সাক্ষাৎকার ৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় সংবাদ সংস্থা এএনআইতে।