পরবর্তী খবর
FDI News: লগ্নির জন্য চোখ বন্ধ করে FDI-তে ছাড় দেব না, আগে দেশের সুরক্ষা, বার্তা নির্মলার
2 মিনিটে পড়ুন . Updated: 24 Oct 2024, 05:35 PM IST
Share 
বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > FDI News: লগ্নির জন্য চোখ বন্ধ করে FDI-তে ছাড় দেব না, আগে দেশের সুরক্ষা, বার্তা নির্মলার
Share 'জাতীয় স্বার্থে'ই ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই-এর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার কড়া নজর রাখবে। বুধবার এই প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
আশা করা হয়েছিল, চিন থেকে বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ আমদানি করতে আগামী দিনে এফডিআই ইস্যুতে নিয়মে শিথিলতা আনা হবে। কিন্তু, আপাতত যে তেমন কিছু করা হচ্ছে না, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন নির্মলা। যার জেরে ভারতে এফডিআই-এর বিষয়টি আরও সংবেদনশীল হিসাবে বিবেচিত হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এমনকী, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নিজেও সেকথা বলেছেন।
এই প্রসঙ্গে নির্মলা বলেন, 'আমরা ব্যবসা চাই। আমরা বিনিয়োগও চাই। কিন্তু, একইসঙ্গে আমরা কিছু নিরাপত্তাও চাই। কারণ, ভারত একেবারেই প্রতিবেশী (চিনের সাপেক্ষে) একটি দেশ। যা ভীষণ ভীষণ সংবেদনশীল বিষয়।'
বুধবার ওয়ারটন স্কুলে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নির্মলা আরও বলেন, 'আমার ব্যবসা করার জন্য টাকা দরকার, আমি সেই টাকা চাই। তার অর্থ এই নয় যে আমি চোখ বন্ধ করে যেখান-সেখান থেকে এফডিআই নিয়ে নেব। একবারও ভেবে দেখব না যে সেই টাকা কোথা থেকে আসছে।' নির্মলা সাফ জানিয়ে দেন, বিদেশি বিনিয়োগ টানতে ভারত সরকার এতটাও বেপরোয়া হতে রাজি নয়।
তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করার সময় নির্মলা নির্দিষ্টভাবে কোনও দেশের নাম মুখে আনেননি। তা সত্ত্বেও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ গ্রহণের ক্ষেত্রে, সেই টাকার উৎস নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'কোনও কোনও ক্ষেত্রে চূড়ান্ত উপভোক্তা আমার কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে আমি কোনও ব্যক্তির কথা বলছি না। বরং, সংশ্লিষ্ট উৎসস্থলের কথা বলছি। আর সেটা আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই, জাতীয় স্বার্থে এই ধরনের বিধিনিষেধ থাকবেই।'
ভারত যে এক্ষেত্রে কোনও ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ করছে না, তাও স্পষ্ট করে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'শুধু ভারতেই যে এমনটা হচ্ছে, তা নয়। এমন অনেক দেশ আছে, যাদের নিজস্ব জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি আইন ও বিধি রয়েছে। যার মাধ্যমে এই ধরনের বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।'
প্রসঙ্গত, লাদাখ সীমান্তে বিবাদ মেটাতে দিন কয়েক আগেই যৌথভাবে পদক্ষেপ করেছে ভারত ও চিন। তাতে সাড়ে চার বছর ধরে চলে আসা সমস্যা মিটে গিয়েছে বলেও দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
উপরন্তু, বুধবারই ব্রিকস সম্মেলন চলাকালীন রাশিয়ার কাজানে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রেক্ষাপটে নির্মলা সীতারমণের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারির ঠিক পরই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, যে সমস্ত দেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে, সেই সমস্ত দেশ থেকে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই আনতে হলে অনুমোদন করাতেই হবে।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য ছিল, মূলত চিনকে চাপে রাখতেই এই নয়া নিয়ম কার্যকর করা হয়েছিল। বুধবার নির্মলা যে মন্তব্য করেছেন, তাতে অনুমান করা হচ্ছে, এখনই অন্তত বর্তমান নিয়মে বদল আনা হবে না। যদিও সংশ্লিষ্ট বহু সংস্থা এই নিয়ম শিথিল করানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি সূত্রের।
নির্মলা এই প্রসঙ্গে জানান, ভারতের বছরে প্রায় ১০,০০০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। যেখানে গত বছর এফডিআই হিসাবে ভারত পেয়েছিল ৭,১০০ কোটি মার্কিন ডলার।
