দেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগব্যবস্থাs আরও উন্নত করতে 'উড়ান' প্রকল্পটিকে আরও সম্প্রসারিত করার কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
শনিবার সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময় নির্মলা জানান, আগামী ১০ বছরের মধ্যে এই পরিষেবার মাধ্যমে ৪ কোটি যাত্রীকে পরিষেবা দেওয়া হবে। এর জন্য উড়ান পরিষেবার অধীনে আরও ১২০টি নতুন গন্তব্যস্থল যুক্ত করা হবে।
এই প্রসঙ্গে নির্মলা তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, 'এই প্রকল্প আগামী দিনে উত্তর-পূর্ব ভারতের পার্বত্য জেলাগুলিতে অবস্থিত হেলিপ্যাড ও ছোট বিমানবন্দরগুলির পক্ষেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।'
এদিনের বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও জানান, বিহারে গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের বন্দোবস্ত করা হবে। আগামী দিনে ওই রাজ্যের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেই এই পদক্ষেপ করা হবে। তিনি বলেন, 'পটনার ধারণ ক্ষমতা (বিমান বা উড়ান পরিষেবা প্রদানের ক্ষমতা) বৃদ্ধি করার জন্য এটা করা হবে, করা হবে, করা হবে।'
উড়ান প্রকল্প বা পরিষেবার গুরুত্ব কী?
এদিন অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় দাবি করেন, প্রায় ১.৫ কোটি মধ্যবিত্তের বিমানে চড়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের উড়ান পরিষেবা।
যদিও ২০২৫ অর্থবর্ষে অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ বেশ কিছুটা কমানো হয়েছে। যার পরিমাণ - ২,৩৫৭.১৪ কোটি টাকা। যা ২০২৪ অর্থবর্ষে ছিল - ২,৯২২.১২ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় সরকারের উড়ান প্রকল্প বা পরিষেবা চালু করার নেপথ্যে প্রধান কারণ ছিল, দেশের অভ্যন্তরে প্রত্যন্ত অংশগুলিকেও বিমান পরিষেবার আওতায় আনা। যা সস্তা এবং সুলভ হবে। আবার যে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থাও এক ধাক্কায় অনেকটাই উন্নত যাবে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী উড়ান প্রকল্পকে আরও বিস্তারিত করার কথা বললেও এই প্রকল্পেও বাজেট বরাদ্দ অনেকটাই কমানো হয়েছে। তথ্য বলছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের জন্য খরচ ধরা হয়েছিল - ৮৫০ কোটি টাকা। অথচ, ২০২৫ অর্থবর্ষে সেই পরিমাণ কমিয়ে করা হয়েছে - ৫০২ কোটি টাকা।
এই টাকা খরচ করে ২২টি বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। ১২৪টি আঞ্চলিক গন্তব্যস্থলে পরিষেবা প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে উত্তর-পূর্ব ভারতে যোগাযোগ স্থাপনে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগব্যবস্থা মজবুত করতে একটি নতুন প্রকল্পও শুরু করা হয়েছে। যা মূলত, আকাশপথে যোগাযোগ উন্নত করার উপরেই গুরুত্ব আরোপ করবে। এবং তার ফলে দেশের এই অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন হবে।
অন্যদিকে, ড্রোন নির্মাণ সংক্রান্ত খরচের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। গত বছর যা ছিল - ৩৩ কোটি টাকা, এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে - ৫৭ কোটি টাকা।
কিন্তু, বাজেট বরাদ্দ অনেকটাই কমানো হয়েছে ডিজিসিএ এবং বিসিএএস-এর মতো বিমান পরিষেবা নজরদারি সংক্রান্ত সংস্থাগুলির জন্য। ৩০২.৬৪ কোটি টাকা থেকে তা কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র ৮৯ কোটি টাকা।