পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনাকে সমর্থন জানানোর অভিযোগে ঝাড়খণ্ডে এক যুবককে গ্রেফতার করা হল। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান এবং পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবাকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট করেছিল মহম্মদ নওশাদ ওরফে কাশিম নামে একজন। সেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিষয়ে খবর পাওয়ার পরই বুধবার তাকে বোকরোর মখদুমপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত তাকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
‘ধন্যবাদ পাকিস্তান’ বলে পোস্ট করেছিল নওশাদ
আর নওশাদকে যে সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে সে উর্দুতে লিখেছিল, 'ধন্যবাদ পাকিস্তান। ধন্যবাদ লস্কর-ই-তৈবা। আল্লাহ তোমাদের দীর্ঘজীবী করুক। আমিন, আমিন। আমরা আরও খুশি হব যদি তোমরা আরএসএস, বিজেপি, বজরং দল এবং মিডিয়াকে নিশানা করো। এখন কোথায় গেল আরএসএস, বিজেপি এবং বজরং দল? সীমান্তে গিয়ে নিজেদের লম্পঝম্প দেখা।'
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সঙ্গে আর কোনও ক্রিকেট নয়… কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পরে রাগে ফুঁসছেন বাংলার ক্রিকেটার
সেইসঙ্গে ওই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনটি স্মাইলি ইমোজিও দেয় নওশাদ। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই পোস্টের পরে আরও কয়েকটি টুইট করে নওশাদ, যাতে অনেক আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক কথা লেখা ছিল।
ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন সাধারণ মানুষ
আর সেই পোস্ট এবং মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ঝাড়খণ্ড পুলিশকে ট্যাগ করে নওশাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ ওঠে যে অতীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার এরকম উস্কানিমূলক পোস্ট করেছিল। পুলিশের কাছেও অভিযোগ জমা পড়ে। আর পহেলগাঁও হামলার পরে নওশাদ সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে বলে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন সাধারণ মানুষ।
নওশাদ ‘বেকার, ধর্মীয় প্রচারক’, দাবি পুলিশের
সেই পরিস্থিতিতে বালিডিহ থানার ওসি নবীনকুমার সিংয়ের নেতৃত্বে তড়িঘড়ি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়। রাতভর চেষ্টার পরে বুধবার সকালে নওশাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তের বাড়ি বোকারোর জেলার বালিডিহের অন্তর্গত মিল্লাতনগর এলাকায়। বালিডিহ থানার ওসি জানিয়েছেন, ধৃত যুবককে জেরা করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, 'ও বেকার। কোনও চাকরি করে না। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে ও একজন ধর্মীয় প্রচারক।'
‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিহারের একটি মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত ছিল নওশাদ। এখন বাবার সঙ্গে বোকারোয় থাকত। এক ভাই থাকে দুবাইয়ে। তার নামে কেনা সিমকার্ড ব্যবহার করেই নওশাদ ইনস্টাগ্রাম, এক্স এবং ফেসবুক চালাত।