তীব্র গরমের মধ্যেই ঘণ্টায় ঘণ্টায় এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ দফতরে বারবার অভিযোগ জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই শেষপর্যন্ত বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে 'জুতো' নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক। হাজার-হাজার এলাকাবাসীও জমায়েত হয়েছিলেন বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু মিছিল শেষ হতে হতে দেখা গেল, অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে সমস্ত জুতো। প্রতিবাদ করতে এসে, লোকজনই বস্তাবন্দি করে জুতো নিয়ে চলে গিয়েছে।
জানা গেছে, আজব ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের হনুমানগড়ে। বিদ্যুতের ঘাটতির জন্য হনুমানগড়ে স্থানীয় বিধায়ক গনেশ রাজ বনসল বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে 'অভিনব' প্রতিবাদ মিছিল বের করেছিলেন। দলের তরফেই জুতো, চটি সরবরাহ করা হয়েছিল মিছিলে সামিল ব্যক্তিদের মধ্যে। বস্তায় করে জুতো আনা হয়েছিল। তবে অনেকেই আবার বাড়ি থেকে জুতো আনায়, অতিরিক্ত জুতোর প্রয়োজন পড়েনি। আর এই সুযোগই নেন পথচলতি কয়েকজন ব্যক্তি। তারা যেন ওৎ পেতে বসেছিলেন, সুযোগ পেতেই বস্তা থেকে জুতো নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই জুতো হাতানোর ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক একজন ব্যক্তি তিন থেকে পাঁচ জোড়া জুতো নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ তো আবার গোটা বস্তা নিয়েই চলে যান জুতো বিক্রির জন্য।
এদিকে, বিধায়ক গনেশ রাজ বনসলের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের সামনে পৌঁছতেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেন। এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভকারীরা বিদ্যুৎ দফতরের গেটে জুতো ছুঁড়ে মারতে থাকেন। এরমধ্যেই বিধায়ক গনেশ রাজ বনসল বলেন, 'বিদ্যুৎ দফতরের কাজের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ দেখাতে এসেছি। এই গরম, প্যাচপ্যাচে আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট বুঝছে না বিদ্যুৎ দফতর। আমাদের অভিযোগের সঠিক সময়ে সমাধান করতে হবে। সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধান হচ্ছে না, তাই আমরা চপ্পল হাতে তুলে নিয়েছি। এর পরের বার বিদ্যুৎ বিভাগের মাথায় এই জুতো ছুড়ে মারব।'
তবে এই ঘটনা প্রথম নয়।গত ৮ আগস্ট, ১১ কেভি লাইনে একটি বড় ত্রুটি ধরা পড়ে, যার জেরে ভোর ৫টা থেকে শহরের একাংশে বিদ্যুৎ ছিল না। পরে, প্রাক্তন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেবেন্দ্র পারিখ বিদ্যুৎ দফতরের অধিকারকদের ডেকে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ।শুধু তাই নয়, তাঁর সমর্থকরা বিদ্যুৎ দফতরের সামনে বিক্ষোভও করেছে।এরপরেই স্থানীয় বিজেপি নেতা অমিত সাহি এই প্রতিবাদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এটা ভালো আচরণ নয়। যদি কোনও সমস্যা থাকে তবে তা আলোচনার মাধ্যমে এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা উচিত। জুতো দেখানো, জুতো তোলা, জুতো দিয়ে আঘাত করার হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়।'