জনসভায় প্রকাশ্যে গ্রাম আধিকারিককে কষিয়ে চড় মারার হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী মেঘনা বরদিকারের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। ইতিমধ্যে ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
জানা গেছে, পারভানি জেলার জিন্টুর তালুকের বোরি গ্রামে একটি জনসভায় যোগ দেন সে রাজ্যে জনস্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী মেঘনা বরদিকার। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, মহারাষ্ট্রের ঘরকুল যোজনা প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের ওই সভায় না নিয়ে আসার জন্য প্রকাশ্যে এক গ্রাম কর্মকর্তাকে তিরস্কার করছেন মন্ত্রী মেঘনা। একই সঙ্গে তাঁকে চড় মামার হুমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগ। হুমকির সুরে মন্ত্রীকে বলতে শোনা গেছে, যদি এভাবে কাজ করেন, তাহলে আমি আপনাকে থাপ্পড় মারব। আপনার বেতন কে দেয়? আপনাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা হবে। কারো চাটুকার হওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনি নিজেকে কি মনে করেন তা আমি জানি না, কিন্তু আপনি কীভাবে কাজ করেন?... যদি আপনি চক্রান্ত করতে চান, তাহলে এই চাকরি ছেড়ে দিন।'
আরও পড়ুন-বিমানবন্দরে তুমুল তাণ্ডব সেনাকর্তার! স্পাইসজেটের কর্মীদের বেধড়ক মারধর, তারপর যা হল...
আর এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এনসিপি বিধায়ক রোহিত পাওয়ার। এক্স বার্তা তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, 'গ্রাম সেবককে হুমকি দেওয়ার ক্ষমতা কে তাঁকে দিয়েছে?' একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে তোপ দেগে পাওয়ার বলেন, 'আবাসন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের আনার লক্ষ্য পূরণ করতে পারেননি বলে একজন প্রতিমন্ত্রী কীভাবে সরকারি অনুষ্ঠানের মাঝে একজন গ্রাম কর্মকর্তাকে চড় মারার হুমকি দিতে পারেন?' তিনি আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, আপনি কত বড় সৎ মন্ত্রী বেছে নিয়েছেন! আপনার মন্ত্রিসভার সুনামই কেবল ঝুঁকির মুখে নেই, তার চেয়েও বেশি মহারাষ্ট্রের সম্মান নষ্ট হচ্ছে, এবং এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়।'
আরও পড়ুন-বিমানবন্দরে তুমুল তাণ্ডব সেনাকর্তার! স্পাইসজেটের কর্মীদের বেধড়ক মারধর, তারপর যা হল...
অন্যদিকে, রাজ্যজুড়ে সমালোচনা শুরু হতেই মন্ত্রী মেঘনা বরদিকার সাফাই দিয়েছেন, 'মহিলা শ্রমিকরা গ্রাম সেবকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। তাই তিনি মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন।রোহিত পাওয়ারের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, 'ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে এবং ওই মন্তব্য করার আগে এবং পরে আমি যা বলেছি তা দেখানো হয়নি।' তবে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।