গত মাসে পহেলগাঁয়ে জঙ্গি হামলার জবাব দিতে ৭ মে মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের অভিযানে ৯০ জন জঙ্গি খতম হয়েছে। তবে বরাবরের মতো সেই দাবি অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। তাদের দাবি, ৮ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। এই অভিযানের পরেই বিভিন্ন দেশের রাষ্টারনেতারা নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরের প্রভাবে শেয়ার বাজারে পতন হতে পারে কি? সকালেই পূর্বাভাস পাওয়া গেল
ভারত-পাক উত্তেজনা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। খুব দ্রুত এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। অপারেশন সিঁদুরের পরেই হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি মানুষ অতীতের সামান্য কিছু ঘটনার উপর ভিত্তি করে জানত যে কিছু ঘটতে চলেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছে।’
এদিকে, ভারতের এই অভিযানের পরেই জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরবর্তী পরিস্থিতি এড়াতে তিনি ভারত ও পাকিস্তানকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর উপ-বিদেশমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানও দু দেশকে সংযত হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ভারত ও পাকিস্তানকে সংযত হওয়া, উত্তেজনা কমানো এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি বিঘ্নিত করে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে সেই ধরনের বিষয় এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি আরও জানিয়েছেন, কূটনীতি এবং আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধান সম্ভব।

উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে
উল্লেখ্য, গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে নিষিদ্ধ জইশ ই মহম্মদ এবং লস্কর ই তৈয়বা গোষ্ঠীর সদর দফতর লক্ষ্য করে ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ভারতীয় বাহিনী। এই জয়গাগুলির মধ্যে রয়েছে বাহাওয়ালপুরে জইশ ই মহম্মদের সদর দফতর এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুরিদকেতে লস্কর ই তৈবার সদর দফতর। পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেছেন যে ভারতীয় বিমান বাহিনী বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, নির্দিষ্টভাবে জঙ্গিদের টার্গেট করা হয়েছে। কোনও পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে হামলার দুসপ্তাহ পর এই অভিযান চালাল ভারত।