চার বছর আগে, সেনাবাহিনীর ক্যান্টিনে আমদানি করা জিনিস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কেন্দ্রের মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের প্রচারে এটি ব্যাপক সহায়তা করেছে। ফলস্বরূপ, এখন বেশিরভাগ সংস্থাগুলি ভারতে তাদের নিজস্ব পণ্য তৈরি করছে। রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
২০২০ সালের অক্টোবরে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আত্ম নির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে সেনা ক্যান্টিনে ৪৩১টি আমদানি করা আইটেম বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রসঙ্গে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে এর ভালো প্রভাব পড়েছে কারণ অনেক কোম্পানি ভারতে তাদের পণ্য তৈরি করতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে ৪৩১টি নিষিদ্ধ আইটেমের মধ্যে ২৫৫টি পুনরায় সেনাবাহিনীর ক্যান্টিনে পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: (RSS on Caste based Census: জাতিভিত্তিক জনগণনায় ‘অত্যন্ত গুরুত্ব’ দেওয়ার পক্ষে সায় আরএসএস-র, রয়েছে একটি শর্তও)
ক্যান্টিন স্টোর ডিপার্টমেন্ট বা সেনাবাহিনীর ক্যান্টিনের (সিএসডি)-এর ক্যাটালগে গাড়ি, মোটরসাইকেল, মদ, যন্ত্রপাতি, বাড়ির পণ্য, খাবার, প্রসাধন সামগ্রী, লাগেজ, ঘড়ি, জুতা, স্টেশনারি এবং আরও অনেক কিছুর মতো একাধিক পণ্য রয়েছে। তারা প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করে। সিএসডি-র জন্য ভারতেই এখন ব্রান্ডেড কোম্পানির টিভি, রেফ্রিজারেটর, প্রসাধনী, ক্রীড়া জুতা, সানগ্লাস এবং টেবিল ফ্যান তৈরি করা শুরু হয়েছে। তবুও ওই সংস্থাগুলির নাম এখনও জানা যায়নি।
শুধু তাই নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর জীবনযাত্রার অবস্থা, সুযোগ-সুবিধা এবং তাঁদের খাবারের মান উন্নত করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। খাবারের মান উন্নত করতে, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে সেনাবাহিনী। এরই পাশাপাশি পরিবেশ-বান্ধব প্রচেষ্টাকে অব্যাহত রাখতে, সেনাবাহিনী একটি গ্রিন হাইড্রোজেন প্ল্যান্ট তৈরির জন্য জাতীয় তাপবিদ্যুৎ কর্পোরেশনের সঙ্গে কাজ করছে। এই প্ল্যান্টটি লেহতে তাদের চুশুল বেস এবং বাসে পাওয়ার সরবরাহ করবে।
প্রসঙ্গত, চার বছর সেনা ক্যান্টিনে আমদানিকৃত পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল ভারতের স্বনির্ভরতা বাড়ানোর জন্য একটি বৃহত্তর সরকারি পরিকল্পনার অংশ। শুধু সেনাবাহিনীর ক্যান্টিনের পণ্যই নয়, ভারত এখন ধীরে ধীরে অনেক অস্ত্র, সিস্টেম এবং উপাদান আমদানি নিষিদ্ধ করে স্থানীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য পদক্ষেপ করেছে। আর এই অন্যান্য পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে ভারতীয় তৈরি সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য একটি বিশেষ বাজেট তৈরি করা, প্রতিরক্ষায় বিদেশী বিনিয়োগের সীমা ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা এবং এই ক্ষেত্রে ব্যবসা করা সহজ করা।