বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন ঘটল বিপত্তি। শীতের রাতে ঠান্ডায় অনুষ্ঠানের মাঝখানে জ্ঞান হারালেন বর। তার ফলে বরকে আর বিয়ে করতে রাজি হয়নি কনে। শেষ পর্যন্ত বিয়ে বাতিল হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে রবিবার। জানা গিয়েছে, বরের নাম অর্ণব। তিনি দেওঘরের ঘোরমারার বাসিন্দা। বিহারের ভাগলপুরের কনে অঙ্কিতার সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষমেষ কনের আপত্তিতে বিয়ের অনুষ্ঠান ভেস্তে যায়।
আরও পড়ুন: 'মায়ের বিয়েতে নিত-কনে’, বেশি বয়সে মল্লিকাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে সাহস দেয় মেয়েই
সাধারণত বর বিয়ে করতে যায় কনের বাড়িতে। এটাই চিরাচরিত ঐতিহ্য। কিন্তু, এক্ষেত্রে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল পুরো উল্টোভাবে। বরের পরিবর্তে কনেকে নিয়ে বাড়ির লোকজন আসে বরের বাড়িতে। রবিবার রাতে তারা কনেপক্ষ অর্ণবের বাড়িতে আসে। যদিও অঙ্কিতা প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করেছিলেন। ঐতিহ্য না মানা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি নিয়ম মেনেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তবে শেষমেষ কনের লোকজন বরের বাড়িতে পৌঁছতেই বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। আচার-অনুষ্ঠান মেনে বিবাহের সূচনা করা হয়। মালা বদল থেকে শুরু করে অন্যান্য সব আচারের আয়োজন করা হয়। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বাইরেই বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বর এবং কনের লোকজন রাতের ভোজ খাওয়ার পর বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুরোহিত বিয়ের মন্ত্র উচ্চারণ করতে শুরু করেন। সেই সময় ঘটে বিপত্তি। আচমকা বর কাঁপতে শুরু করেন এবং অবশেষে তিনি অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন ।
ঘটনায় বরের পরিবার তাকে ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা বরের হাতের তালু এবং পায়ের পাতা ঘষে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন। এরপর স্থানীয় একজন ডাক্তারকে ডাকা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় পর অর্ণবের জ্ঞান ফিরে আসে। তবে এই ঘটনার পরেই অনুষ্ঠানের আনন্দ মাটি হয়ে যায়। অঙ্কিতা বরের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল বরের অন্য কোনও সমস্যা রয়েছে বলেই এভাবে ঠান্ডায় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। তাছাড়া এই কারণেই কনের পরিবারকে বরের বাড়িতে আসতে বলা হয়েছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অঙ্কিতা। শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে রাজি হননি কনে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও পুলিশ কনে পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, কোনওভাবেই বিয়েতে রাজি হয়নি কনের পরিবার।