'এই হামলা গোটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি বার্তা।' কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের সিনিয়র নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলার পর সতর্ক করল ইজরায়েল।প্যালেস্তাইনে এখনও মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের মধ্যেও যুদ্ধ শেষ হয়নি। সেই আবহেই পশ্চিম এশিয়ায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। (আরও পড়ুন: পড়শি রাজ্যে থেকে IS জঙ্গিকে গ্রেফতার করল ATS, দিল্লি পুলিশের দল)
আরও পড়ুন: এবার পোল্যান্ডের আকাশে রুশ 'অনুপ্রবেশ', ধ্বংস করা হল ড্রোন, মোতায়েন F16
ইজরায়েলের সংসদ নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা বলেছেন, এই হামলা গোটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি বার্তা। দোহায় ইজরায়েলি হামলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি। ভিডিওর ক্যাপশনে ইজরায়েলি পার্লামেন্টের স্পিকার লেখেন, 'আজকের এই হামলা পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি বার্তা।' এদিকে, কাতারে ইজরায়েলি হামলার তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ।সমালোচকরা বলেছেন, ইজরায়েল আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে সীমান্তের বাইরেও আগ্রাসন চালাচ্ছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশৃঙ্খল রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে ইজরায়েল।এই প্রথমবার কাতারে ইজরায়েল অভিযান শুরু করেছে। সিএনএন-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হামলার প্রস্তুতি কয়েক মাস ধরে চলছিল। (আরও পড়ুন: 'হোটেলে আগুন… লাঠি নিয়ে তাড়া', নেপাল থেকে কাতর আর্তি ভারতীয় মহিলার)
আরও খবর-প্রতীক্ষার অবসান! iphone 17 সিরিজের একাধিক মডেল প্রকাশ্যে, ভারতে দাম কত?
ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, আকাশপথে দোহায় বোমাবর্ষণ করেছে তারা। ঠিক কোথায় হামলা চালানো হয়েছে, তা যদিও খোলসা করেনি ইজরায়েল। তবে তাদের সেনার তরফে বলা হয়েছে, ‘আইডিএফ এবং আইএসএ হামাস সন্ত্রাসী সংগঠনের সিনিয়ক নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে একটি সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে।’ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতর জানিয়েছে, দোহায় এ হামলা সম্পূর্ণ ইজরায়েলের স্বাধীন সামরিক অভিযান ছিল। ইসরায়েল এটি শুরু করেছে, পরিচালনা করেছে এবং এর পূর্ণ দায়ভারও নিচ্ছে। তবে বিবৃতিতে সরাসরি দোহা বা কাতারের নাম উল্লেখ করা হয়নি। বস্তুত, ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে কাতার। সেই নিয়ে বৈঠকের সময় হামলা চালানো নিয়ে ইজরায়েলের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: 'মোদীর সাথে জলদি কথা হবে', ট্রাম্পের দাবির পর কী বললেন '৪ বার ফোন না তোলা' নমো?
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যদি হামাস পণবন্দিদের মুক্তি না দেয় তাহলে হাল আরও খারাপ হবে। তারপরেই এই হামলা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।যদি ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি ইজরায়েলি হামলা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। দোহায় প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নেতাদের নিশানা করে বিমান হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত একেবারেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। এদিকে, দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইজরায়েলি হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার।কাতারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, আবাসিক ভবনে এই হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্যরা ছিলেন। এটি সব আন্তর্জাতিক আইন ও নীতির প্রকাশ্য লঙ্ঘন এবং কাতারবাসী ও বিদেশি বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। অন্যদিকে ইজরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, সন্ত্রাসীদের জন্য পৃথিবীর কোথাও কোনও নিরাপদ আশ্রয় থাকবে না।