চলতি বছরের গোড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক ভারতীয় মহিলা টার্গেট স্টোর থেকে জিনিসপত্র চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে পুলিশের তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই মহিলার কান্নায় ভেঙে পড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
১৫ জানুয়ারি ওই ভিডিতে দেখা গেছে, মার্কিন পুলিশ যখন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে, তখন ওই ভারতীয় মহিলাটি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপরেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরমধ্যেই একজন অফিসার তাকে বলেন, 'এখনই আপনাকে ছাড়া পাবেন না।' এরপর পুলিশ যখন লক্ষ্য করে তার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, তখন তাকে শান্ত হতে অনুরোধ করে। একজন অফিসার বলেন, 'যতটা সম্ভব জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিন। আপনাকে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে হবে। হাইপারভেন্টিলেট করবেন না। কারণ আমাকে আপনার সঙ্গে কথা বলতে হবে।কিন্তু আপনি করলে কথা বলতে পারব না।' এরপরেই তিনি ইংরেজি বলতে পারেন কিনা পুলিশ জানতে চাইলে, মহিলা উত্তর দেন, 'খুব ভালো না।' মার্কিন পুলিশ তখন তার মাতৃভাষা কী জানতে চান। ওই মহিলা জানান, 'গুজরাটি' এবং তিনি নিশ্চিত করেন যে ভারত থেকে এসেছেন।
আরও পড়ুন-স্নানের সময় ভিডিও! যোগীরাজ্যে শ্বশুরবাড়িতে অকথ্য নির্যাতনের শিকার BJP MP-র বোন
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময়, টার্গেট স্টোরের কর্মীরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখান। যেখানে দেখা গেছে, ওই ভারতীয় মহিলা জিনিসপত্র ভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে চেকআউটের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ওই মহিলা স্বীকার করেন যে তার কাছে ওয়াশিংটনের ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে। কর্মীরা আরও জানিয়েছেন, ওই মহিলা স্টোরের নিয়মিত গ্রাহক ছিলেন। কিন্তু প্রথমবার তিনি টার্গেট স্টোরে থেকে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। ভারতীয় মহিলা জানান, তিনি দোকান থেকে নেওয়া জিনিসপত্র পুনরায় বিক্রি করার চেষ্টায় ছিলেন।
আরও পড়ুন-স্নানের সময় ভিডিও! যোগীরাজ্যে শ্বশুরবাড়িতে অকথ্য নির্যাতনের শিকার BJP MP-র বোন
এই প্রথম নয়, জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে গিয়ে এক ভারতীয় মহিলা টার্গেট স্টোর থেকে জিনিসপত্র চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন।ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের একটি টার্গেট স্টোরে সাত ঘণ্টার বেশি সময় ঘোরাঘুরির পর ওই মহিলার সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করে কর্মীরা পুলিশে খবর দেয়। ওই মহিলার বিরুদ্ধে প্রায় ১.১ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র চুরি করার অভিযোগ উঠে।ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।মহিলা সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা জানানোর আগেই পুলিশ তাঁকে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে দেয়। একজন মহিলা পুলিশের সঙ্গে এক পুরুষ পুলিশ কর্মীকেও তাঁকে টেনে নিয়ে যেতে দেখা যায়। মহিলা পুলিশ কর্মীকে বলতে শোনা যায়, আপনাদের ভারতেও কি চুরি করার অনুমতি আছে? আমার মনে হয় নেই।