'আমি মার্কিন সেনেটে সেক্স করার জন্য অনুতপ্ত নই।' এমনই মন্তব্য করেছেন সেক্স স্ক্যান্ডালে নাম জড়ানো বরখাস্ত সেনেট কর্মী এইডান মেসে-জেরোপস্কি। ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক মার্কিন মুলুকে 'সিনেট টুইঙ্ক' নামেই বেশি পরিচিত। ঘটনার সূত্রপাত ২০২৩ সালে। মার্কিন সিনেটে একজন পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার একটি ভিডিও অনলাইনে ফাঁস হওয়ার পর ডেমোক্র্যাট সিনেটর বেন কার্ডিনের কর্মী এইডান মেসে-জেরোপস্কিকে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করছেন। (আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিন, রাখাইন করিডোর জল্পনার মাঝে বাংলাদেশে পা US বাহিনীর! কী বলছে ভারত?)
আরও পড়ুন-আংটি কিনেও প্রপোজ করা হল না! US-তে হামলায় ঝাঁঝরা ইজরায়েলি যুগল
আরও পড়ুন: 'নোবেলজয়ী হিসেবে সারাজীবনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে',দেশ ছেড়ে পালানোর ছক ইউনুসের?
নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনকে এক সাক্ষাৎকারে ওই যুবক বলেছেন, 'আমি কেবল নিজেকেই নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছি। আমি এই পরিণতি ভোগ করছি। তবে সেনেটেসেক্স করার জন্য আমি অনুশোচনা করি না।' এমনকি তিনি দাবি করেছেন যে রাজনৈতিক জগতের অন্যরাও একই রকম আচরণ করেছেন।তিনি বলেছেন, 'আমি এমন অনেক লোককে চিনি যারা সেনেটে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়েছেন।' যদিও তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি ওই যুবক।নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনের মতে, কাজ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর মেসে-জেরোপস্কি দক্ষিণ আফ্রিকা, পর্তুগাল এবং ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের মধ্য দিয়ে ব্যাকপ্যাকিং ভ্রমণ শুরু করেন এবং শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় এসে স্থায়ী হন। (আরও পড়ুন: '…ভারতের নিশ্বাস বন্ধ করব', মার খেয়েও হাফিজ সইদের ভাষায় কথা পাক সেনা কর্তার)
আরও পড়ুন: অমানবিক পাক, দুর্যোগে পড়া ইন্ডিগোর বিমানের সঙ্গেও 'শত্রুতা' মুনিরের দেশের!
তাঁর কথায়, 'এটা বলা কঠিন যে আমি একটা শিক্ষা পেয়েছি।আমি যখন আধ সেকেন্ড সময় কাটিয়েছিলাম, তখন আমার মনে হয়েছিল, আমি এমন অনেক লোককে চিনি যারা সেনেটে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে।' পাশাপাশি ক্যাপিটল হিলে চাকরি নিয়ে অতৃপ্ত এবং হতাশ ছিলেন ওই যুবক।তাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তিনি জানান, ঐতিহাসিক সেনেটের কার্যবিবরণীর জন্য প্রায়শই ব্যবহৃত একটি ঘর বুক করেছিলেন। যেখানেই তিনি যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন এবং ভিডিও করেন। তিনি বলেন, দুপুরের আগেই তিনি তার ডেস্কে ফিরে আসেন। কিন্তু কাজ এড়িয়ে যাননি, বরং একঘেয়েমি থেকে নিজেকে 'বিনোদন' দিয়েছেন। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ না গার্ডিয়ান? সেভেন সিস্টার নিয়ে কটাক্ষ করা ইউনুসকেই যেন বার্তা মোদীর)
আরও পড়ুন: ইউনুস সরকারের ওপর আরও চাপ ভারাতের, ঢাকার আপত্তি সত্ত্বেও বড় বার্তা দিল্লির
উল্লেখ্য, ভিডিও ফাঁসের পর তাকে সেনেটর কার্ডিনের অফিস থেকে ওই যুবককে বরখাস্ত করা হয়েছিল, কিন্তু ক্যাপিটল পুলিশ অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তারা জানিয়েছিল। এই কাজটি যদিও জঘন্য ছিল, তবুও বেআইনি নয়।