মহারাষ্ট্রের নাগপুরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে নাগপুরের উমরের তালুকে। নাগপুর গ্রামীণ পুলিশ সুপার হর্ষ পোদ্দার জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় কারখানার ভিতরে ৮৭ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। কারখানার পালিশ করা টিউবিং ইউনিটে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। এরপরেই কারখানায় আগুন ধরে যায়। এখনও পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। (আরও পড়ুন: 'গানপয়েন্টে আলোচনা নয়', মার্কিন শুল্ক জুজু নিয়ে স্পষ্ট বার্তা ভারতের)
আরও পড়ুন-১৪ বাই ১৪ ফুটের সেল, ২৪ ঘণ্টা নজরদারি! ২৬/১১ হামলার তাহাউর যেন আছে তেপান্তরে
গ্রামীণ পুলিশ সুপার হর্ষ পোদ্দার জানান, বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রবেশ করা নিরাপদ নয়। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। আগুন নেভানোর পর, যথাযথ তদন্ত শুরু হবে। একদিকে, বিস্ফোরণের পরেই দ্রুত দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং এখনও পর্যন্ত ৫ জন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে বাকিদের উদ্ধারের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ৬ জনকে উদ্ধার করে আহতদের নাগপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনও অজানা। কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই আরও বিস্তারিত জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশপাশের এলাকায় শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কারখানায় আগুন লেগে যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। মুহূর্তের মধ্যে আগুন গোটা কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে শ্রমিকরা ঝলসে যায়। প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা চারিদিকে ছোটাছুটি করতে শুরু করেন। ধ্বংসস্তূপের নীচে কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। যুদ্ধকালীন তোতোরোতে চলছে উদ্ধারকাজ। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানিদের অনুপ্রবেশ রুখে দিল সেনা, শহিদ ১, কাশ্মীরে খতম একাধিক জঙ্গি)
আরও পড়ুন: 'ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে লুটপাট... থানায় হামলা হওয়ায় পুলিশ নিজেই পালায়'
আরও পড়ুন: 'রাজ্যে ৪০% মুসলিম...', শান্তি বজায় রাখার জন্যে পুলিশের প্রশংসায় মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মুম্বইয়ের কুর্লা ফায়ার স্টেশনের বিপরীতে এলবিএস রোডে ফিনিক্স মলের ছাদে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু সেখান থেকে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ পরিদর্শক ধনজি জলক জানান, অগ্নিকাণ্ডে ছয় জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। অন্যদিকে, গত ১ এপ্রিল গুজরাটের বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ২০ জনের। গুরুতর জখম হয়েছিলেন ছয়জন। জানা গেছে, বনসকাঁথা জেলার একটি শিল্পাঞ্চলে আতশবাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছিল।