বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় হিংসা দেখা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে বিএসএফকে ডাকতে বাধ্য হয় জেলা প্রশাসন। এদিকে বাংলারই পড়শি রাজ্য অসম। সেখানে ওয়াকফ সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনে তেমন কোনও হাঙ্গামা হয়নি। এই আবহে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পুলিশের প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। (আরও পড়ুন: পুলিশকে মানছে না ওয়াকফ বিক্ষোভকারীরা? জখম SDPO, জঙ্গিপুরে আজও টহল বিএসএফের)
আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের মন্ত্রী, হামলা-কটাক্ষ MP-দের! WAQF প্রতিবাদে কি চাপে TMC?
এর আগে সিএএ আন্দোলনের সময়ও বাংলার মুর্শিদাবাদে হিংসা ছড়িয়েছিল। সেই সময় অবশ্য বাংলার থেকে বেশি অশান্ত হয়ে উঠেছিল অসম। তবে সেই সব এখন অতীত। ওয়াকফ আঁচে যখন বাংলা জুড়ে অবরোধ, বিক্ষোভ, মিছিল, হিংসা, তখন অসমে কোনও রকমের হিংসা বা ঝামেলার ঘটনা ঘটেনি। এই আবহে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে পুলিশের প্রশংসা করেন। তিনি দাবি করেন, পুলিশ খুব ভালো ভাবে 'গ্রাউন্ডওয়ার্ক' করেছে এবং শান্তি বজায় রেখেছে। (আরও পড়ুন: তাহাউর রানার পর্দা ফাঁস করতে NIA-র তুরুপের তাস 'রহস্যময় সাক্ষী')
আরও পড়ুন: পাকিস্তানিদের অনুপ্রবেশ রুখে দিল সেনা, শহিদ ১, কাশ্মীরে খতম একাধিক জঙ্গি
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার বলেন, ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে ছোটখাটো প্রতিবাদ সত্ত্বেও রাজ্যের পরিস্থিতি মোটামুটি শান্তিপূর্ণ রয়েছে। তিনি শান্তি বজায় রাখার জন্য অসম পুলিশের প্রশংসা করেন এবং বোহাগ বিহু উদযাপনের আগে জনগণের ঐক্যের কথা তুলে ধরেন। নিজের পোস্টে হিমন্ত লেখেন, 'প্রায় ৪০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে তিনটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদ ছাড়া অসম আজ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। অসম পুলিশকে তাদের বিস্তৃত গ্রাউন্ডওয়ার্কের জন্য আমার অভিনন্দন। তাদের এই কাজের ফলে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। অসম জুড়ে মানুষ - জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায় এবং ধর্ম নির্বিশেষে - চেতনায় ঐক্যবদ্ধ এবং আনন্দ ও সম্প্রীতির সাথে আমাদের প্রিয় বোহাগ বিহুকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নিচ্ছে।' এদিকে পড়শি রাজ্য অসম শান্ত থাকলেও বাংলার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ‘মার খেয়েছে’ বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই আবহে হিমন্তের এই বার্তা একপ্রকারে বাংলাকে 'খোঁচা' দেওয়ারই সামিল।