অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মহিলা সেনা অফিসারদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে সোনিপতের অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে তলব করেছে হরিয়ানার মহিলা কমিশন। আলি খান মাহমুদাবাদ অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান। গত ৭ মে 'অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকে একযোগে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী।এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ভারতের 'অপারেশন সিঁদুরের' সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন ওই অধ্যাপক।
আরও পড়ুন-বিশ্বশান্তির অন্যতম কাঁটা পাকিস্তান! ভারতের পাশে বালোচ বিদ্রোহীরা
'অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকের পর দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি। আর তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় সেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার এত বড় অভিযান নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন দুই মহিলা আধিকারিক ৷ সংযত অথচ দৃঢ়তার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অভিযানের বিস্তারিত ব্যাখ্য দেন তাঁরা ৷ অভিযোগ, এরপরেই ফেসবুকে সেনা আধিকারিকদের সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট করেন ওই অধ্যাপক। পোস্টে মাহমুদাবাদ লিখেছিলেন, 'আমি খুব খুশি যে এত ডানপন্থীরা কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রশংসা করছেন। তবে তারা সমানভাবে দাবি করতে পারেন যে গণপিটুনি, নির্বিচারে বুলডোজার চালানো এবং বিজেপির ঘৃণা ছড়ানোর শিকার অন্যান্যদের ভারতীয় নাগরিকদেরও সুরক্ষা দেওয়া হোক।'
আরও পড়ুন-বিশ্বশান্তির অন্যতম কাঁটা পাকিস্তান! ভারতের পাশে বালোচ বিদ্রোহীরা
ফের ছাঁটাইয়ের কোপে মাইক্রোসফট কর্মীরা! এআই-তে বিপুল বিনিয়োগ
এরপরেই হরিয়ানার মহিলা কমিশন ওই অধ্যাপককে সমন পাঠিয়েছে।কমিশনের চেয়ারপার্সন রেণু ভাটিয়া বলেন, প্যানেল হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশন আইন, ২০১২-এর ধারা ১০(১)(চ) এবং ১০(১)(ক) এর অধীনে আলি খান মাহমুদাবাদের মন্তব্যের স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত করার ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। পাশাপাশি অধ্যাপককে পাঠানো নোটিশে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং-সহ মহিলাদের অফিসারদের অবমাননা; গণহত্যার মতো শব্দের মাধ্যমে তথ্যের ভুল উপস্থাপনা; আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের অবমাননা; সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার প্ররোচনা দেওয়া; সংবিধান এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে মহিলাদের মর্যাদা লঙ্ঘন; এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুষদের জন্য নীতিগত আচরণ বিধি লঙ্ঘন।