সামান্য শরীর খারাপই বদলে দিল গুজরাটের এক চিকিৎসকের জীবন।স্ত্রী ও পরিবারের অনুরোধে ১২ জুন অভিশপ্ত লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের টিকিট বাতিল করেছিলেন গুজরাটের চিকিৎসক উমঙ্গ প্যাটেল। সেই বিমানই দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে ভেঙে পড়ে ডাক্তারি হোস্টেলের ওপর। প্রাণ হারান ২৪১ জন যাত্রী ও আরও অন্তত ১০ জন। (আরও পড়ুন: বোমা হামলার আশঙ্কায় হায়দরাবাদগামী লুফথানসার বিমান ফ্রাঙ্কফুর্টে ফিরল)
আরও পড়ুন: লখনউতে অবতরণের সময় বিমানে ধোঁয়া, উড়ানে ছিলেন ২৫০ হজযাত্রী
৪০ বছর বয়সি ডা. উমঙ্গ প্যাটেল ইংল্যান্ডের নর্থ্যাম্পটনের বাসিন্দা। গত ২৪ মে স্ত্রী, সন্তান, ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে গুজরাটের মহীসাগর জেলার কৈডাম গ্রামে এসেছিলেন, নিজের বাড়িতে। ফিরে যাওয়ার কথা ছিল ১২ জুনে, একা। কিন্তু সব কিছু বদলে যায় ৯ জুনে।ডা. উমঙ্গ প্যাটেল বলেন, 'শ্বশুরবাড়ি থেকে ঘুরে এসে হঠাৎ জ্বর আসে আমার। খুব দুর্বল লাগছিল। স্ত্রী অনুরোধ করে বলল, এই অবস্থায় লন্ডন যেও না। আমিও একটু দোনোমোনো করলেও, শেষমেশ স্ত্রীয়ের কথা শুনে ১২ জুনের টিকিট বাতিল করে দিলাম, ১৫ জুনের জন্য নতুন টিকিট কাটলাম। তারপরই শুনি সেই বিমানটি ভেঙে পড়েছে।' তাঁর কথায়, 'ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করেছেন। যাঁরা ওই বিমানে ছিলেন, তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি।' (আরও পড়ুন: ট্রাম্প যে খামেনিকে বাঁচানোর কৃতিত্ব চাইছেন,ট্রাম্পকে মারার ছক কষছেন সেই খামেনি?)
আরও পড়ুন: ২৭ জুনের মধ্যে ২৫% বকেয়া ডিএ না মেটালে 'এর দাম দিতে হবে' রাজ্য সরকারকে
আরও পড়ুন-রাজকোটে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর জানাজানি হতেই গ্রামের বহু মানুষ ছুটে আসেন তাঁদের দেখতে। মানসিক শক্তি জোগানোর চেষ্টা করেন প্যাটেল পরিবারকে। উমঙ্গ জানান, গত পাঁচ বছর ধরে তিনি নর্থ্যাম্পটনে বসবাস করছেন। ২ জুন প্রথমে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেই সময় তাঁর বাবা স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় সেই ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। ১২ তারিখের টিকিট কাটা হয়। এরপরে ৯ জুন তিনি যখন স্ত্রীকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিতে যান, তখনই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর ফলে স্ত্রী ও বাবা-মা, সকলেই অনুরোধ করেন, তিনি যেন এই অবস্থায় ১২ তারিখের ফ্লাইটে না ফেরেন।তিনি আরও জানান, ২৪ মে তাঁরা যে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটে লন্ডন থেকে আহমেদাবাদে আসেন, সেই ফ্লাইটে যদিও কোনও বড় ত্রুটি ছিল না, তবে মিডিয়া প্লেয়ারের কিছু সুইচ ভাঙা ছিল এবং এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম কাজ করছিল না। (আরও পড়ুন: জিআই সেপসিসের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আরও এক রোগ, এখন কেমন আছেন অভিজিৎ?)
আরও পড়ুন: 'আমরা পরমাণু বোমা ফেলব', ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে নাক গলাল 'নাক কাটা' পাকিস্তান
আরও পড়ুন: ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানে পেট্রোল-ডিজেল রেট যেন রকেট,ভারতে হাল কেমন
উল্লেখ্য, এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত সেই এআই১৭১ বিমানে মোট ২৪২ জন ছিলেন। একজন মাত্র যাত্রী বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন। বাকি ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে এখনও পর্যন্ত অহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭০।